
২০২৫ সালকে বরণ করতে জমজমাট আতসবাজির আলোয় রঙ্গিন হয়ে ওঠে আকাশ।
নিউজিল্যান্ড:
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের মানুষ, সবার আগে বরণ করে নিলো নতুন বছর ২০২৫কে। ১০ সেকেন্ডের কাউন্টডাউন, তারপর, জমজমাট আতসবাজির আলোয় রঙ্গিন হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের আকাশ। ছিলো লেজার লাইট শো। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে, আনন্দে উদ্বেল ছিলেন নিউজিল্যান্ডের মানুষ।
অস্ট্রেলিয়া:
কম যাননি, অস্ট্রেলিয়ার সিডনী বাসী। সিডনীর আইকোনিক হার্বার ব্রিজে, আলোর ঝর্ণাধারা মুদ্ধ করেছে দর্শকদের।
হার্বার ব্রিজের সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিলো, এবারের লাইটশো। হাজার হাজার ঝর্ণাবাতি, পটকাবাজির কেন্দ্রবিন্দু ছিলো সিডনীর অপেরা হাউজ আর হার্বার ব্রিজ।
লক্ষ লক্ষ অস্ট্রেলিয়াবাসী, এই আলোকসজ্জার স্বাক্ষী হলেন, বরণ করে নিলেন, ২০২৫ সালকে।
হংকং:
হংকং এ ডায়নামিক আতসবাজি আর লেজারশো চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর। নগরীর ভিক্টোরিয়া হার্বারে, আতসবাজির আয়োজন ছিলো, মনে রাখার মতো জাকজমকে ঠাসা।
সাথে ছিলো সঙ্গিতের মূর্ছনা। ছিলো মানুষের আনন্দ হল্লা আর উল্লাস। আয়োজকরা জানিয়েছেন, দ্য সিম্ফোনি অব হাপিনেসের মাধ্যমে তারা ছড়িয়ে দিয়েছেন, নতুন বছরের শুভ বার্তা।
যুক্তরাজ্য:
নতুন আশা আর জমাজমাট আয়োজনে, ইউরোপের মানুষও বরণ করে নিলো, ইংরেজি নতুন বছর।
লন্ডনে শীতের অন্ধকার আকাশ, আলোকিত হলো টেমস্ নদীর পাড়ে, আইকনিক বিগ বেনের, আলোকসজ্জা আর আতসবাজির মনোমুগ্ধকর আয়োজনে।
স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় জেগে উঠেছিলো লাখো মানুষ, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। দুর্যোগময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস ভুলে, পথে পথে নেমে আসেন হাজারো মানুষ।
ফ্রান্স:
নেচে গেয়ে নতুন বছরকে যেনো গায়ে লাগিয়েছেন প্যারিসবাসী। সাথে আতসবাজির মনোমুদ্ধকর আয়োজন ছিলো, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।
তীব্র শীত উপেক্ষা কোরে, প্যারিসের সবার পথ যেনো মিলেছিলো, এলিসি এ্যাভিনিউয়ে। আতসবাজি খেলায়, নতুন বছরকে স্বাগত জানানো, প্যারিসবাসী কন্ঠে ছিলো, হ্যাপি নিউ ইয়ার ধ্বনি।
জার্মানি:
জার্মানির বার্লিনে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন, ব্রান্ডেনবার্গ গেইটে।ধারনা করা হচ্ছে ষাট হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিলো নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এ আয়োজনে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর, এই কাউন্ডডাউন আয়োজনে, এসেছিলেন, দুনিয়ার নানান প্রান্তের, উৎসব প্রেমি মানুষ।
গ্রীস:
প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি, গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের, পার্থেনন টেম্পেলের আকাশ রঙিন হলো, আতসবাজির আলোয়।
গৃহপালিত পশুপাখির শব্দভীতির বিষয়টি আমলে নিয়ে, নগরীর মেয়রের অনুরোধে, আতসবাজির এবারের আয়োজন ছিলো, সংক্ষিপ্ত ও সীমিত পরিসরে।
ইউক্রেন:
যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেনে আসেনি, নতুন বছরের আনন্দ। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আইকনিক মেইডেন স্কোয়ারে ছিলো না কোন কাকপক্ষিও। রাশিয়ার আক্রমণের কারণে, ইউক্রেনবাসীর নতুন বছর শুরু হলো ভীতিকরভাবে।
মহাশূন্য থেকে:
মহাশূণ্য থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, মহাকাশচারিরাও। চীনের শেনঝু-১৯ এর ক্রু মেম্বারদের তিনজন আশা জানিয়েছেন, নতুন বছর, পৃথিবীর মানুষের জন্য আসবে, শুভ বার্তা নিয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত:
দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফা, যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দালান, একে ঘিরে আতসবাজি বা লেজার শোর আয়োজন ছিলো মধ্য প্রাচ্যের সবচেয়ে সেরা। যা দেখতে জড়ো হয়েছিলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ।