Logo
×

Follow Us

এশিয়া

১৬ ডিসেম্বর: নেপালের ঐতিহাসিক জাতীয় পতাকা দিবস

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫০

১৬ ডিসেম্বর: নেপালের ঐতিহাসিক জাতীয় পতাকা দিবস

প্রতি বছর নেপাল ১৬ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে, যা মূলত জাতীয় পতাকা দিবস নামে পরিচিত। দিনটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে ১৯৬২ সালের সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে। ওই দিন নেপালের বর্তমান দ্বি-ত্রিভুজাকৃতির পতাকা সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়। বিশ্বের একমাত্র অ-আয়তাকার জাতীয় পতাকা হিসেবে নেপালের পতাকা আন্তর্জাতিকভাবে অনন্য।  

নেপালের পতাকা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ১৯৬২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের নতুন সংবিধানেও একই পতাকা পুনরায় স্বীকৃতি পায়। ফলে দিনটি নেপালের জাতীয় ঐতিহ্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে ওঠে।  

২০১8 সাল থেকে নেপালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা দিবস পালিত হচ্ছে। কাঠমান্ডুতে প্রতি বছর র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জনসভা আয়োজন করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পতাকা উত্তোলন করে এবং জনগণকে পতাকার ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন করা হয়।  

নেপালের পতাকা দুটি ত্রিভুজের সমন্বয়ে গঠিত, যা হিমালয়ের প্রতীক। পতাকার লাল রং সাহস ও বিজয়ের প্রতীক, আর নীল বর্ডার শান্তি ও ঐক্যের প্রতীক। সূর্য ও চাঁদের প্রতীক যুক্ত করে পতাকায় নেপালের চিরন্তন অস্তিত্ব ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। তাই জাতীয় পতাকা দিবস শুধু একটি প্রতীকী অনুষ্ঠান নয়, বরং জাতীয় ঐক্য ও গৌরবের প্রতিফলন।  

১৬ ডিসেম্বর রাজধানী কাঠমান্ডুতে বড় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। মৈতিঘর থেকে বসন্তপুর পর্যন্ত পতাকা মিছিল হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। জনগণ পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসে এবং দেশপ্রেমের গান পরিবেশন করে। দিনটি তরুণ প্রজন্মকে জাতীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করার সুযোগ তৈরি করে।  

নেপালের পতাকা বিশ্বের একমাত্র অ-আয়তাকার জাতীয় পতাকা। জাতিসংঘে নিবন্ধিত হওয়ার পর এটি আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করে। তাই জাতীয় পতাকা দিবস নেপালের জন্য শুধু অভ্যন্তরীণ ঐক্যের প্রতীক নয়, বরং বৈশ্বিক পরিচয়েরও প্রতীক। 

Logo