পোল্যান্ড সীমান্তে একটি গোপন টানেল আবিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এই টানেলের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিল প্রায় ১৩০ জন অভিবাসী, যাদের মধ্যে আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীরা নিয়মিত টহলের সময় টানেলটির সন্ধান পান। ধারণা করা হচ্ছে, এটি দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারকারীরা ব্যবহার করে আসছিল। টানেলটি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে সীমান্তরক্ষীদের চোখ এড়িয়ে অভিবাসীরা প্রবেশ করতে পারে।
টানেল থেকে আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ইউরোপে আশ্রয় ও কাজের সন্ধানে এসেছিলেন। আটক অভিবাসীদের প্রাথমিকভাবে সীমান্ত শিবিরে রাখা হয়েছে এবং তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই টানেলটি মানব পাচারকারীদের একটি বড় নেটওয়ার্কের অংশ। তারা অভিবাসীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করাচ্ছিল। তদন্তে জানা গেছে, প্রতিটি অভিবাসীর কাছ থেকে কয়েক হাজার ডলার নেওয়া হয়েছিল।
পোল্যান্ড সরকার বলছে, সীমান্ত নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হবে। অবৈধ অভিবাসন রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপে অভিবাসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বহু মানুষ ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। পোল্যান্ডের এই ঘটনা আবারো প্রমাণ করল, মানব পাচারকারীরা নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিবাসীদের সীমান্তে প্রবেশ করাচ্ছে।