বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করল মালয়েশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৫

মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন সুবিধা ঘোষণা করেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘কেস বাই কেস’ ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের কোটা আবেদন গ্রহণ ও অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল। বেরনামায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১৪ অক্টোবর দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনটি প্রধান খাত বৃক্ষরোপণ, কৃষি, খনি ও খনন এবং দশটি উপখাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। উপখাতগুলো হলো: নিরাপত্তা পরিষেবা, ধাতু স্ক্র্যাপ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, লন্ড্রি, রেস্তোরাঁ, গুদামজাতকরণ, কার্গো হ্যান্ডলিং, সরকারি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ এবং নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকার শুধু শ্রম ঘাটতি পূরণই করছে না, বরং অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জনকল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নিয়োগকর্তারা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়ান স্টপ সেন্টারে (OSC) আবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে প্রতিটি আবেদন মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে অনুমোদিত হবে।
আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে এবং জনবল চাহিদা অনুযায়ী আবেদন মূল্যায়ন করা হবে। এই নমনীয় ও চাহিদাভিত্তিক পদ্ধতি শিল্প খাতে দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া এই পদক্ষেপ মালয়েশিয়া সরকারকে আগামী বছরের বিদেশি কর্মী নিয়োগ নীতিমালা পর্যালোচনা ও শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মোট কর্মশক্তির ১০ শতাংশের মধ্যে বিদেশি কর্মী সীমাবদ্ধ রাখার জাতীয় লক্ষ্য পূরণেও এটি সহায়ক হবে।
তবে মালয়েশিয়া সরকার এখনো নির্দিষ্ট করে জানায়নি কোন দেশ থেকে কতজন কর্মী নেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিটির নেতারা। তারা বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দালালদের প্রতারণা, অতিরিক্ত খরচ এবং ভুয়া প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই সুযোগ বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুললেও সঠিক তথ্য, সতর্কতা এবং সরকারি তত্ত্বাবধান ছাড়া তা বিপদে পরিণত হতে পারে। তাই প্রবাসে যেতে আগ্রহীদের উচিত যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।