
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে রেমিট্যান্স সুরক্ষা, বিনিয়োগ সুবিধা ও প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে সরকারের কাছে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছেন তারা।
শনিবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপপ্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু সাঈদ রিয়াজ। তিনি বলেন, “গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ রেকর্ড ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা দেশের আমদানি বিলের ৪৫ শতাংশ পরিশোধে সহায়তা করেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে। অথচ দেশে ফিরে প্রবাসীরা অবহেলা ও হয়রানির শিকার হন।”
তিনি আরো বলেন, “প্রবাসীরা শুধু পরিবারের ভরণপোষণই করেন না, তারা দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখেন। কিন্তু পাসপোর্ট, কাগজপত্র, মৃত্যুর পর মরদেহ ফেরত, সম্পত্তি রক্ষা- এসব ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রায় অনুপস্থিত।”
প্রবাসী নেতাদের ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
- বিদেশের প্রতিটি দূতাবাসে ২৪ ঘণ্টার জরুরি হটলাইন ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন
- প্রবাসী বিনিয়োগে অন্তত ১০ বছর কর অবকাশ সুবিধা
- পাসপোর্ট নবায়ন ও প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট দ্রুত সরবরাহ
- বিদেশে মৃত্যু হলে শতভাগ সরকারি ব্যয়ে মরদেহ দেশে ফেরত
- দলীয়করণমুক্ত দূতাবাস পরিবেশ
- মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তির ভূমিকা বন্ধ
- প্রতিটি জেলায় প্রবাসী সেবা কেন্দ্র
- রেমিট্যান্সে অন্তত ৫ শতাংশ প্রণোদনা
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক, গ্রিস থেকে ওসমান গনি, লেখক ফয়সাল আহমেদ এবং সিঙ্গাপুর থেকে মাসবাউল ইসলাম। তারা বলেন, “প্রবাসীদের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”
প্রবাসী নেতারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার তাদের দাবি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে প্রবাসীদের জন্য একটি নিরাপদ, সম্মানজনক ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ