Logo
×

Follow Us

বিশ্ব

নোম্যাড ভিসা বনাম ওয়ার্ক ভিসা: কার জন্য কোনটা ভালো?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪

নোম্যাড ভিসা বনাম ওয়ার্ক ভিসা: কার জন্য কোনটা ভালো?

বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থানের ধরনে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পেশাজীবীদের ভিসা পছন্দেও এসেছে নতুন ধারা। বিশেষ করে প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং, পরামর্শক, লেখালেখি ও সৃজনশীল পেশায় নিয়োজিতরা এখন স্থায়ী চাকরির জন্য ওয়ার্ক ভিসার চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ থাকা ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা বেছে নিচ্ছেন।

ওয়ার্ক ভিসা সাধারণত কোনো কোম্পানির স্পন্সরশিপে দেওয়া হয়, যেখানে কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি দেশে কাজ করার অনুমতি পান। এতে চাকরির নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুবিধা, আবাসন সহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব থাকে। তবে কর্মীকে নির্দিষ্ট কোম্পানি ও অবস্থানে আবদ্ধ থাকতে হয় এবং চাকরি পরিবর্তন বা দেশান্তর করতে হলে নতুন ভিসা প্রয়োজন হয়।

ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা মূলত তাদের জন্য, যারা অনলাইন ভিত্তিক কাজ করেন এবং একাধিক দেশে ঘুরে ঘুরে কাজ করতে চান। এই ভিসায় কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির স্পন্সর প্রয়োজন হয় না। একজন ফ্রিল্যান্সার, রিমোট কর্মী বা উদ্যোক্তা নিজের আয় ও কাজের প্রমাণ দেখিয়ে এই ভিসা নিতে পারেন।

এই ভিসার সুবিধা হলো কর্মস্থলের স্বাধীনতা, ভ্রমণের সুযোগ এবং একাধিক দেশের সংস্কৃতি ও পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা। বর্তমানে আমিরাত, পর্তুগাল, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, থাইল্যান্ডসহ প্রায় ৫০টির বেশি দেশ ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা দিচ্ছে।

বিজনেস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণ পেশাজীবীরা এখন স্থায়ী চাকরির চেয়ে স্বাধীনতা ও কাজের নমনীয়তাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারা চাচ্ছেন একাধিক প্রকল্পে কাজ করতে, ভ্রমণ করতে এবং নিজের সময় ও আয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা সেই সুযোগ করে দিচ্ছে।

তবে নোম্যাড ভিসার ক্ষেত্রে আয় নির্ধারণ, কর কাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসনের বিষয়গুলো নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করতে হয়। অন্যদিকে, ওয়ার্ক ভিসায় এসব সুবিধা কোম্পানি কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতে ভিসা নীতিতে আরো নমনীয়তা আসবে, যাতে পেশাজীবীরা কাজ ও জীবনযাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত হতে পারেন। এই পরিবর্তন কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎকে আরো উদার, বহুমুখী ও স্বাধীন করে তুলছে।

তথ্যসূত্র: বিজনেস টুডে

Logo