
২০২৫ সালের ‘Expat Insider’ জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অমিশুক দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক প্রবাসী নেটওয়ার্ক ইন্টার নেশনস। ১২ হাজারের বেশি প্রবাসীর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি এই তালিকায় মেক্সিকো পেয়েছে সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মর্যাদা, যেখানে ৯০ শতাংশ প্রবাসী স্থানীয়দের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে সন্তুষ্ট।
মেক্সিকোর পরেই রয়েছে কলম্বিয়া, পানামা, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম। এই দেশগুলোতে প্রবাসীরা শুধু স্বাগত বোধ করেন না, বরং স্থানীয়দের সঙ্গে সহজে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারেন। জরিপে দেখা গেছে, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রবাসীদের মানসিক স্বস্তি, সামাজিক সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের আগ্রহ বাড়ায়।
অন্যদিকে, সবচেয়ে অমিশুক দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নরওয়ে, কুয়েত এবং সুইজারল্যান্ড। এই দেশগুলোতে প্রবাসীরা স্থানীয়দের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক গড়তে কঠিনতা অনুভব করেন। যেমন, জার্মানিতে অনেক প্রবাসী জানিয়েছেন, স্থানীয়রা খুব কমই ব্যক্তিগত আলাপ করেন এবং বন্ধুত্ব গড়তে সময় নেন। সুইজারল্যান্ডে সামাজিক দূরত্ব এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এতটাই গুরুত্ব পায় যে, নতুন প্রবাসীদের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
InterNations-এর গবেষণা পরিচালক মাল্টে জেলিংগার বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ শুধু সামাজিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রবাসী জীবনের স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরো বলেন, “যেসব দেশে প্রবাসীরা স্বাগত বোধ করেন, সেখানে তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে আগ্রহী হন।”
জরিপে আরো দেখা গেছে, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে প্রবাসীরা স্থানীয় ভাষা শেখার আগ্রহী হন, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সহজে মিশে যান। অন্যদিকে, অমিশুক দেশগুলোতে প্রবাসীরা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন এবং একাকিত্বের শিকার হন।
এই তালিকা শুধু ভ্রমণ বা বসবাসের জন্য নয়, বরং অভিবাসন নীতিমালা, প্রবাসী সহায়তা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতে পারে। বিশেষ করে যেসব দেশ অভিবাসন বাড়াতে চায়, তাদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
তথ্যসূত্র: Yahoo Style/InterNations