Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের অধিকার সীমিত করতে উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসনের

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮

অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের অধিকার সীমিত করতে উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসনের

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিক আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকার সীমিত করতে জাতিসংঘে একটি নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আশ্রয় নীতিমালায় পরিবর্তন এনে দেশগুলোর ওপর চাপ কমানো, যারা অভিবাসন সংকটে ভুগছে।

রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করবে, যেখানে “অতিরিক্ত ও অপব্যবহৃত” আশ্রয় দাবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক নিয়মে অনেকেই রাজনৈতিক বা মানবিক আশ্রয়ের নামে অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে চায়, যা প্রকৃত শরণার্থীদের জন্য সুযোগ সংকুচিত করে।

এই প্রস্তাবে দেশগুলোর নিজস্ব সীমান্ত নীতির ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হবে, যাতে তারা “অযৌক্তিক” আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং বাস্তবতা বিবেচনায় একটি “নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব” ভিত্তিক পদক্ষেপ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে এই উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই ধরনের পরিবর্তন বাস্তবিক শরণার্থীদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক দায়িত্বকে দুর্বল করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ অভিবাসনবিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানকে আরো জোরদার করবে এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অভিবাসন ইস্যু এখন অন্যতম রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদনকারীর সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আনতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, ভিসা শর্ত কঠোরকরণ এবং অভিবাসন আদালতের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।

এই প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হলে, বৈশ্বিক আশ্রয় নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এটি বাস্তব সংকটে থাকা মানুষদের জন্য আরো অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Logo