Logo
×

Follow Us

বিশ্ব

অনিয়মিত অভিবাসীদের 'নিরাপদ দেশে' পাঠাবে জার্মানি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৫

অনিয়মিত অভিবাসীদের 'নিরাপদ দেশে' পাঠাবে জার্মানি

জার্মান সরকার অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে ইউরোপীয় বিচার আদালতের (ইসিজে) সাম্প্রতিক রায়ে এই উদ্যোগ বাধার মুখে পড়তে পারে।

১ আগস্ট ইসিজে জানায়, কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা করতে হলে সেখানে সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত থাকতে হবে। আদালত আরো বলেছে, আশ্রয় আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা গেলেও নিরাপদ দেশ তালিকা বিচারিক তদন্তের আওতায় থাকতে হবে, যাতে প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারী সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।

জার্মানির বর্তমান তালিকায় ইইউ সদস্য নয় এমন আটটি ইউরোপীয় দেশ এবং দুটি আফ্রিকান দেশের নাম রয়েছে। নতুন জোট সরকার (সিডিইউ/সিএসইউ ও এসপিডি) আলজেরিয়া, ভারত, মরক্কো ও তিউনিশিয়াকে তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে যেসব দেশের আশ্রয় আবেদন মঞ্জুরের হার ৫ শতাংশের নিচে, সেগুলোকে ‘নিরাপদ’ বিবেচনা করা হবে।

তবে আদালতের রায় অনুযায়ী, এই মূল্যায়ন যথাযথ না হলে তা মানবাধিকারের পরিপন্থি হতে পারে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রায়টি পর্যালোচনা করা হবে। ভবিষ্যতে সরকার ডিক্রি জারি করে দেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা করতে চাইছে, যাতে পার্লামেন্টের মতামতের প্রয়োজন না হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট আশ্রয় আইন সংস্কারের পক্ষে। তিনি চান, যেসব অভিবাসীর আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হোক। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ‘রিটার্ন হাব’ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যাতে ইইউর বাইরে যৌথভাবে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চালানো যায়।

বিরোধী দলগুলো আদালতের রায়কে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বলছে। গ্রিন পার্টির ফিলিৎস পোলাট বলেন, “বুন্ডেসটাগ ও বুন্ডেসরাটের অনুমোদন ছাড়া কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা করা উচিত নয়।”

বামপন্থি দল ডি লিংকের নেত্রী ক্লারা ব্যুঙ্গার জর্জিয়া ও মলদোভাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব দেশের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিত উদ্বেগজনক। একই সঙ্গে তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়ায় সমকামিতার শাস্তিযোগ্যতা ‘নিরাপদ’ ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্র্যান্টস

Logo