Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতিতে কমছে বিদেশি কর্মীদের সুযোগ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০০:১৫

যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতিতে কমছে বিদেশি কর্মীদের সুযোগ

অভিবাসন সীমিত করতে বড় ধরনের সংস্কার আনতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য৷ এর মধ্য দিয়ে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুযোগ সীমিত করার কথা ভাবছে দেশটির সরকার৷ ফলে দেশটির সামাজিক পরিচর্যা খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

তবে অভিবাসন সংস্কার সম্পর্কিত শ্বেতপত্রটি কার্যকর করার আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হবে৷

অভিবাসন সম্পর্কিত শ্বেতপত্রটি মঙ্গলবার (১ জুলাই) পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে৷ ৮২ পৃষ্ঠার এই শ্বেতপত্রের লক্ষ্য শুধু দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনা নয়, বরং অভিবাসন ব্যবস্থার অপব্যবহারও বন্ধ করতে চায় সরকার৷

শ্বেতপত্রটির ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উল্লেখ করেছেন, ‘‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভিসা আবেদন প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে৷’’

তিনি আরো বলেছেন, ‘‘কিন্তু এখন আরো দ্রুত এবং আরো এগিয়ে যাওয়ার সময়৷ ব্রিটিশ জনগণকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ৷’’

অভিবাসন সম্পর্কিত এই সংস্কার বাস্তবায়নে প্রথমে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের অনুমোদন লাগবে৷ সরকার চলতি জুলাইয়ের শেষ দিকে এটি কার্যকর করতে চায়৷ সে ক্ষেত্রে তার আগেই পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হতে হবে৷ আশা করা হচ্ছে, আগামী ২২ জুলাই এই সংস্কারটি পাসে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হতে পারে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, ‘‘এই নতুন নিয়মগুলোর অর্থ হলো অভিবাসন কমাতে, অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যুক্তরাজ্যে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগের উপর আমাদের মনোনিবেশ নিশ্চিত করতে এটি আরো শক্তিশালী পদক্ষেপ৷’’

তিনি আরো বলেন, সরকার ‘‘সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাচ্ছে”।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এই সংস্কারগুলোর মধ্য দিয়ে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে আসা মানুষের সংখ্যা এক লাখ পর্যন্ত কমে আসবে৷

অভিবাসন সম্পর্কিত শ্বেতপত্রে তুলে ধরা পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাজ্যে আসতে ইচ্ছুক দক্ষ কর্মীদের আয় এবং দক্ষতার সীমাকে ঊর্ধ্বমুখী করা৷

অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের তাদের দক্ষতা এবং যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়৷ ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে৷ তবে, দক্ষতার স্তরকে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রির সমমান বা তার উপরে হতে হবে৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এসব কারণে ১১১টি পেশায় ওয়ার্ক ভিসার সুযোগ কমে আসবে৷

এছাড়া শ্বেতপত্রে ইংরেজি ভাষার দক্ষতাকে কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্কস ফর রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজ (সিইএফআর) অনুযায়ী বি-ওয়ান থেকে বি-টু পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে৷ এমনকি ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার আবেদন খরচও বাড়ানো হচ্ছে৷

তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস

Logo