Logo
×

Follow Us

বিশ্ব

দেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:২৭

দেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে মধ্যপ্রাচ্যসহ অধিকাংশ দেশে শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। বাংলাদেশের সঙ্গে একই দিনে ঈদ হওয়ায় আনন্দের মাত্রা বেড়েছে বহু গুণ।

এছাড়া স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন হওয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে পরিবার নিয়ে ঈদের জামাতে হাজির হন হাজারো মুসল্লি। বিপুল সংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জামাতে ঈদের নামাজে অংশ নেন।

একই দিনে ঈদুল আজহা পালন করা হয়েছে মালয়েশিয়াতেও। রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।

স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় মসজিদগুলোতে যেমন বাংলাদেশিরা নামাজ আদায় করেছেন, তেমনি অনেক বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

কানাডায় ঈদের সকাল শুরু হয় একাত্মতায়। দেশটির বড় বড় শহরের মসজিদগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভিড় করেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানরা।

বরাবরের মতোই জার্মানিতে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী বার্লিনের পুরনো বিমানবন্দর টেম্পেলহফার মাঠে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসীর জন্য করা হয় বিশেষ দোয়া। খোলা জায়গায় পশু কোরবানির অনুমোদন না থাকায় ঈদ জামাতের পরপরই প্রবাসীরা ছুটে যান কোরবানির জন্য রাখা নির্দিষ্ট স্থানে।

স্পেনের মাদ্রিদে বসবাসরত মুসলিমদের পাশাপাশি বার্সেলোনা ও অন্যান্য শহরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় ঈদের সালাত আদায় করেন মুসল্লিরা। অনেকের কর্মস্থলে ছুটি না থাকায় নামাজ শেষ হওয়া মাত্রই জীবন-জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটে যেতে হয়।

একই চিত্র ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে। রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিসসহ প্রধান শহরগুলোতে মসজিদ এবং খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আয়ারল্যান্ডেও বাংলাদেশি কমিউনিটির মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায়ের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন মিষ্টি খাবারের।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদের জামাতে শরিক হন। জামাত শেষে পশু কোরবানি দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। অনেক স্থানে বাংলা ভাষায় খুতবার আয়োজন করা হয়। কুয়েতে সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় মসজিদ আল কেবির বা গ্রান্ড মসজিদে।

ইসরায়েলি বাহিনীর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শুক্রবার ভোরেই জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ঢল নামে মুসল্লিদের। পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদ প্রাঙ্গণ। জামাতে নামাজ আদায় করেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব হলেও গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের কারণে কারো মুখেই ছিল না আনন্দের হাসি। ঈদের নামাজ শেষে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জন্য করা হয় বিশেষ দোয়া।

তথ্যসূত্র: সময় অনলাইন 

Logo