
২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে WHO প্যান-আমেরিকাস রিপোর্ট অনুসারে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় হাম (measles) রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট ২৩১৮ জন। তিনটি মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১১ গুণ বেড়েছে।
বিশেষত কানাডায় ২ হাজার ৭৫৫টি নিশ্চিত কেস ঘটেছে। এদের মধ্যে তিনজন (একজন প্রিম্যাচিউড শিশু) প্রাণ হারিয়েছে। মেক্সিকোতে ১,৫২০টি কেস এবং অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ।
কানাডার পরিস্থিতি
২,৭৫৫টি কেস; যাতে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যদিও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালে দেশটিতে হাম বিলুপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২৫ সালে নতুনভাবে ছড়ানোর ঘটনা বেড়েছে।
বর্তমান প্রাদুর্ভাব কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে বিস্তৃত, বিশেষ করে অন্টারিও, আলবার্টা ও কুইবেকে।
মেক্সিকোর প্রেক্ষাপট
উত্তরাঞ্চলীয় চিহুয়াহুয়া রাজ্যে Mennonite সম্প্রদায়কেন্দ্রিক প্রাদুর্ভাব আটকে এখনো ৯২২টির বেশি কেস নিশ্চিত হয়েছে এবং এক মৃত্যুর খবর আছে। তবে WHO ও AP সূত্রে মোট মৃত্যুর সংখ্যা চার ছাড়িয়েছে।
হাম ১৯৯৮ সালে মেক্সিকোতে বিলুপ্ত হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে এর উপাদান ফের ফিরে এসেছে। প্রধান কারণ, টিকা দিতে সংকোচ বোধ করা।
যোগাযোগহীন Mennonite সম্প্রদায় ও সামাজিক মাধ্যমে ভ্যাকসিনবিরোধিতা পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলছে।
মৃত্যুর পরিসংখ্যান
কানাডায়: অন্তত একটি প্রাণহানি, একজন প্রিম্যাচিউড শিশু।
মেক্সিকোতে: চারজন মারা গেছেন, যার মধ্যে একজন Mennonite সমাজ ও এক স্বল্পসুস্থ অধিবাসী অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে: টেক্সাস ও নিউ মেক্সিকোতে তিনজন মৃত্যু; দুই শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক। এদের সবাই ভ্যাকসিনহীন।
WHO বলছে, “অমুক্ত ভ্যাকসিন প্রচারের অভাবে ২২ মিলিয়ন শিশুর প্রথম ডোজ মিলেছে ২০২৩ সালে।” যার ফলে ২০২৪-২৫ সালে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে ।
WHO‑র зоне‑এ “High risk” মূল্যায়ন করা হয়েছে। কারণ উত্তর আমেরিকায় জনসংখ্যার মধ্যে ভ্যাকসিন সংযোজন কমে গেছে।
প্রতিরোধে MMR (Measles‑Mumps‑Rubella) দুই ডোজ দরকার। প্রথম ডোজ ৯‑১২ মাসে, দ্বিতীয় ১৫‑১৮ মাসে অথবা প্রয়োজনে বেড়ে দ্বিতীয়রা ৪‑৬ বছর।
বর্তমানে যারা ভ্রমণে যাচ্ছে, তাদের উচিত সুসংবদ্ধ এমএমআর প্রতিক্রিয়ার ফলোআপ। বিদেশে যাত্রার আগে অন্তত একটি ডোজ নেয়া জরুরি।
ভ্যালোয় জ্বর, কাশি, চোখের পানি বা র্যাশ দেখা দিলে দ্রুত কোভিডের মতো সময় মেনেই পরীক্ষা করা উচিত। লক্ষ রাখা দরকার, যেখানে ব্যবহারযোগ্য মাস্ক এবং রোগীকে আগে থেকে ফোন দিয়ে ইনস্টিটিউটে যেতে বলা ভেবে রাখা যেতে পারে।
প্রতিষেধক প্রচারে সচেতনতা বৃদ্ধি। বিশেষ করে কম ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সম্প্রদায় (যেমন Mennonite, Indigenous জনগোষ্ঠী), স্বাস্থ্য এবং মিডিয়ানির্ভর তথ্যগুলো পৌঁছে দেওয়া জরুরি। Door-to-door ক্যাম্পেইন এবং স্থানীয় ভাষায় বার্তা প্রচারের উদাহরণ অনুসরণ করা যেতে পারে।
কানাডা ও মেক্সিকোতে হামের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঘটছে। জনসংখ্যাগত ভ্যাকসিন বঞ্চনা ও দেশান্তরে সংক্রমণের কারণ আজকের দৃশ্যপটে স্পষ্টভাবে সামনে।। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কা করেছে। এখনই MMR ভ্যাকসিন গ্রহণ, সতর্কতা, এবং জনসম্পৃক্ত প্রচার চালু না হলে সংকট আরো ব্যাপক রূপ নিতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন