কোস্টারিকা: যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারের কুখ্যাত রুট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:৪৪

কোস্টারিকা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের ক্ষেত্রে উৎস, গন্তব্য এবং ট্রানজিট দেশ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে দেশটির কৃষি, নির্মাণ, মাছ ধরা এবং গৃহস্থালির কাজে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া যৌন শোষণের জন্যও অনেক নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে কোস্টারিকান নারী ও শিশুরা বাণিজ্যিক যৌন শোষণের শিকার হয়েছে, যার পেছনে দারিদ্র্য এবং সহিংসতা একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।
কোস্টারিকান সরকার মানব পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০১৬ সালে সরকার ১.১৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে National Coalition against Migrant Smuggling and Trafficking in Persons (CONATT) প্রতিষ্ঠা করে, যা ২৪ ঘণ্টার জরুরি সাড়া দল এবং ভুক্তভোগীদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান করে। এছাড়া Rahab Foundation-এর মতো স্থানীয় সংস্থাগুলো পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাচারের শিকারদের শনাক্ত করতে সহায়তা করছে।
২০২৫ সালে কোস্টারিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাবাসিত ২০০ অভিবাসীকে গ্রহণ করে, যাদের মধ্যে আফগানিস্তান, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিল। এই অভিবাসীদের Corredores, Puntarenas-এ অবস্থিত Temporary Migrant Care Center (CATEM)-এ রাখা হয়। তবে এপ্রিল ২০২৫-এ কিছু অভিবাসী এই কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যায়, ফলে কর্তৃপক্ষ তাদের সন্ধানে সতর্কতা জারি করে।
কোস্টারিকায় সম্প্রতি একটি মানব পাচার চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা এশীয় অভিবাসীদের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। এই চক্রটি মূলত কোস্টারিকাকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছিল, যেখানে অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনে পাচার করা হতো।
কোস্টারিকায় মানব পাচার একটি গুরুতর সমস্যা, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মোকাবিলা করা জরুরি। সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তথ্যসূত্র: সিএনএন