Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

সুইজারল্যান্ডে বাড়ছে বর্ণবাদ ও ঘৃণামূলক আচরণ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩

সুইজারল্যান্ডে বাড়ছে বর্ণবাদ ও ঘৃণামূলক আচরণ

২০২৪ সালে জোট নিরপেক্ষ ইউরোপীয় দেশ সুইজারল্যান্ডে তীব্রভাবে বেড়েছে বর্ণবাদী ও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণামূলক আচরণ। এসব ঘটনায় মুসলিম ও আরব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীরাই বেশি শিকার হয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের সরকারি প্রতিষ্ঠান বর্ণবাদবিরোধী ফেডারেল কমিশন (ইকেআর) রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে।

সুইস এনজিও হিউম্যানরাইটসের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে ইকেআর জানায়, গত বছর ঘৃণামূলক বক্তব্য, শারীরিক আক্রমণ, হুমকি ও অন্যান্য বৈষম্যমূলক আচরণের এক হাজার ২১১টি ঘটনা সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছে।

জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের মতো বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই এসব ঘটনা ঘটেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বর্ণবাদী ও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণামূলক ঘটনা অন্তত ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ও অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী দেশটির জনসংখ্যা ৯০ লাখ।

এদের মধ্যে অভিবাসী বা অভিবাসন অতীত থাকা মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অন্তত ৪০ শতাংশ।

ইকেআর জানিয়েছে, গত বছর দেশটিতে বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক আচরণের ঘটনা তীব্রভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ‘বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ’। এমন পরিস্থিতি তৈরির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বৃহত্তর মেরুকরণ।

এক হাজার ২১১টি ঘটনার ৬৫ ভাগ ছিল বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যমূলক। ২০২৩ সালের তুলনায় যে ধরনের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার শিকার হয়েছে মুসলিম ধর্মানুসারী ও আরব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীরা। এমন ৩৫০টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

ইকেআর জানিয়েছে, এছাড়া এশিয়াবিরোধী আক্রমণের প্রায় ৮০টি ঘটনা এবং ইহুদি বিদ্বেষের ৬৬টি ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৌখিকভাবেই আক্রমণ করা হয়েছে।

তবে বর্ণবাদী আচরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে শারীরিক সহিংসতার অন্তত ১০০টি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘৃণামূলক বক্তব্যের ১৪৯টি ঘটনা ঘটেছে গত এক বছরে।

অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনা ছিল চার শতাধিক, অপমানের ৩০০টি এবং শতাধিক হুমকির ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নথিভুক্ত এসব ঘটনার পাঁচ ভাগের এক ভাগ ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ


Logo