
২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসী প্রবাহ ৩০% কমেছে, যা প্রায় ৩৩,৬০০ কম আগমনকে নির্দেশ করে। এটি ইউরোপীয় সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে। সর্বাধিক হ্রাস দেখা গেছে বালকান রুটে, যেখানে আগমন ৬৪% কমেছে এবং যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা ৪% হ্রাস পেয়েছে।
এই হ্রাসের পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি, বিশেষ করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, এই নীতিগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং অভিবাসীদের আরো বিপজ্জনক রুটে যাত্রা করতে বাধ্য করছে।
এছাড়া ইউরোপীয় কমিশন একটি "নিরাপদ দেশ" তালিকা প্রস্তাব করেছে, যা দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া সহজ করতে পারে। তবে এই পদক্ষেপটি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে, যারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এটি যথাযথ সুরক্ষা ছাড়াই প্রত্যাবাসন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো; যেমন লিবিয়া ও তিউনিসিয়া, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অভিবাসন চুক্তি রয়েছে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। এই পরিস্থিতি অভিবাসীদের জন্য আরো বিপজ্জনক পথ তৈরি করছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিকে অন্তত ৫৫৫ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে প্রায় ৩,৫০০ শিশু মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান অভিবাসন কৌশল মানবিক সুরক্ষার চেয়ে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা মানবিক বিপদের কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান