Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

রাশিয়ায় যুদ্ধে বাংলাদেশিরা, ফেরাতে রুশ দূতাবাসে ধরনা স্বজনদের

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪

রাশিয়ায় যুদ্ধে বাংলাদেশিরা, ফেরাতে রুশ দূতাবাসে ধরনা স্বজনদের

রাশিয়ায় উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভনে বাংলাদেশি যুবকদের প্রতারণার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সি ও মানব পাচারকারী চক্র এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। 

এই চক্রগুলো বাংলাদেশি যুবকদের মাসে ২-২.৫ লাখ টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে পাঠায়। সেখান থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে তাদের রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়। প্রথমে বলা হয়, তাদের জামাকাপড় ধোয়া বা রান্নার কাজ করতে হবে। কিন্তু পরে ১৫-২০ দিনের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। 

নরসিংদীর আকরাম হোসেন ও তার ভগ্নিপতি সাইপ্রাসে চাকরির আশায় রাশিয়ায় যান। পরে তারা বুঝতে পারেন, তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছে। আকরাম পালিয়ে দেশে ফিরতে সক্ষম হন, তবে তার ভগ্নিপতি এখনো রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। 

নাটোরের হুমায়ুন কবির ও তার দুলাভাই রহমত আলী একইভাবে রাশিয়ায় যান। হুমায়ুন ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত হন, আর রহমত আলী আহত অবস্থায় দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। এছাড়া মানব পাচার রোধে বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

মস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফারহাদ হোসেন জানান, “আমরা ইয়াসিনের বিষয়টি জেনেছি এবং রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। মৃত্যুর খবর এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কয়েকটি পরিবার তাদের সন্তানের অবস্থান জানাতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।”

বাংলাদেশের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) জানিয়েছে, মানব পাচার সংশ্লিষ্ট একটি চক্রের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,“আমরা জড়িতদের শনাক্ত করেছি, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।”

২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াসিন শেখের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের সন্তানদের ফিরে পাওয়ার আশায় মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। বাংলাদেশের মস্কো দূতাবাস জানিয়েছে, প্রায় ডজনখানেক পরিবার তাদের সন্তানদের ফেরত আনার আবেদন জানিয়েছেন। 

তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল

Logo