Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

সাইপ্রাসের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সেনজেন সদস্যপদ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫

সাইপ্রাসের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সেনজেন সদস্যপদ

সাইপ্রাস সরকার ঘোষণা করেছে, তারা ২০২৬ সালের মধ্যে ইউরোপের সেনজেন অঞ্চলের সদস্য হতে চায়। দেশটির অভিবাসনবিষয়ক উপমন্ত্রী নিকোলাস ইয়োয়ানিদেস ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের হোম অ্যাফেয়ার্স ও মাইগ্রেশন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান।  

ইয়োয়ানিদেস বলেন, সাইপ্রাস প্রযুক্তিগতভাবে সেনজেন সদস্য হওয়ার জন্য প্রস্তুত। ইউরোপীয় কমিশন শিগগিরই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরীক্ষা সম্পন্ন করবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এ মূল্যায়ন শেষ হবে। এরপর ২০২৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়া গেলে সাইপ্রাস আনুষ্ঠানিকভাবে সেনজেন অঞ্চলে যোগ দিতে পারবে।  

ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠককে তিনি অত্যন্ত গঠনমূলক বলে উল্লেখ করেন। সেখানে সাইপ্রাসের আসন্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতিত্বকালীন অগ্রাধিকার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে নতুন অভিবাসন ও আশ্রয় চুক্তি ২০২৬ সালের জুনে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।  

ইয়োয়ানিদেস বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ দায়িত্ব হওয়া উচিত। ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটে অনেক দেশ প্রস্তুত না থাকায় এককভাবে পদক্ষেপ নেয়, ফলে নীতিতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। নতুন অভিবাসন চুক্তি ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে। তিনি স্বীকার করেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে, তবে একটি সাধারণ কাঠামোর মধ্যে কাজ করাই উত্তম।  

কিছু দেশ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা অভিবাসন চুক্তির সংহতি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে না। এ বিষয়ে সাইপ্রাস দ্বিপক্ষীয আলোচনায় নেমেছে, যাতে তাদের উদ্বেগ বোঝা যায় এবং সমাধান খোঁজা যায়। ইয়োয়ানিদেস বলেন, সাইপ্রাস সভাপতিত্বকালে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে এবং সব সদস্য রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় উৎসাহিত করবে। 

সাইপ্রাসের লক্ষ্য হলো ২০২৬ সালের মধ্যে সেনজেন অঞ্চলের সদস্যপদ অর্জন। প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন শেষ হলে রাজনৈতিক সমর্থন নিশ্চিত করে দেশটি ইউরোপের অভিন্ন ভিসা ও সীমান্ত ব্যবস্থায় যুক্ত হবে। একই সঙ্গে অভিবাসন নীতিতে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বাড়াতে চায় সাইপ্রাস।

Logo