Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

তিন দেশের ওপর যুক্তরাজ্যের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশ ছাড়পত্রে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩

তিন দেশের ওপর যুক্তরাজ্যের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশ ছাড়পত্রে
তিন দেশের ওপর যুক্তরাজ্যের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশ ছাড়পত্রে

অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় নজিরবিহীন কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছেন, যে তিনটি আফ্রিকান দেশ তাদের অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে না, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। প্রাথমিকভাবে টার্গেট করা হয়েছে অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া এবং ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি)।  

হোম অফিসের সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই তিন দেশের হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসী ও বিদেশি অপরাধী থাকলেও তারা নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ‘অগ্রহণযোগ্যভাবে কম সহযোগিতা’ করছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ বলেন, অবৈধ অভিবাসন দেশের কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই এই পদক্ষেপ তার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। যুক্তরাজ্য এবার সেই একই কৌশল গ্রহণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রও অসহযোগী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যবহার করেছে।  

যদি তিন দেশ দ্রুত সহযোগিতা না করে, তবে তাদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ভিসা নিষেধাজ্ঞাও থাকতে পারে। যুক্তরাজ্য ধাপে ধাপে শাস্তি আরোপের পরিকল্পনা করেছে- প্রথমে কূটনৈতিক পদক্ষেপ, পরে সরকারি কর্মকর্তা, পর্যটক ও ব্যবসায়িক পরিদর্শকদের জন্য ভিসা স্থগিতাদেশ।  

এই উদ্যোগ যুক্তরাজ্যের বৃহত্তর অভিবাসন নীতির অংশ। পরিকল্পনায় রয়েছে, অপসারণের বিরুদ্ধে আইনি আপিলের সুযোগ সীমিত করা, মানবাধিকার সংকুচিত করা এবং ছোট নৌকায় অবৈধ প্রবেশকারীদের সংখ্যা কমানো। গত বছর যুক্তরাজ্য থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে অপসারণ করা হয়েছে। নতুন নীতির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরো দ্রুত হবে।  

এছাড়া যুক্তরাজ্য এক দশকে প্রথমবারের মতো অভিবাসন বিধিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। নতুন ‘গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ড’ পূর্বের প্রত্যাখ্যানের কারণগুলো প্রতিস্থাপন করেছে। সরকার জানিয়েছে, আড়াই বছর পর পর শরণার্থী মর্যাদা পর্যালোচনা করা হবে। অর্থাৎ পরিস্থিতি নিরাপদ মনে হলে আশ্রয়প্রাপ্তদেরও ফেরত যেতে হতে পারে।  

অবিলম্বে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির তালিকায় বাংলাদেশ নেই। বরং ২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার করতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। হোম অফিস বাংলাদেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।  

চুক্তির লক্ষ্য ছিল প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সহজ করা, যাতে ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থী, বিদেশি অপরাধী এবং ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করা ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণ সম্ভব হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যে কোনো দেশ অসহযোগিতা করলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার করা হবে, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বর্তমানে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করছে।

Logo