যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের স্থায়ী হওয়ার নিয়ম কঠিন হলো
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নতুন নীতি আসছে। হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদ সোমবার এই সংস্কার ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন নিয়মে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীরা ৫ বছর পর স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারতেন। অর্থাৎ, পাঁচ বছর শরণার্থী মর্যাদা ধরে রাখার পর তারা “Indefinite Leave to Remain” বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি চাইতে পারতেন।
নতুন পরিকল্পনায় শরণার্থীদের কেবল অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। তাদের মর্যাদা নিয়মিত পর্যালোচনা করা হবে। যদি দেখা যায় তাদের নিজ দেশ নিরাপদ হয়ে গেছে, তবে তাদের দেশে ফিরে যেতে বলা হবে। স্থায়ী বসবাসের আবেদন করার সুযোগ আসবে কেবল ২০ বছর পর।
সরকার বলছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ছোট নৌকায় অবৈধভাবে আসা মানুষের সংখ্যা কমানো এবং আশ্রয়ের আবেদন নিয়ন্ত্রণ করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ঘটনা বেড়েছে। সরকার মনে করছে, কঠোর নিয়ম চালু করলে এই প্রবণতা কমবে।
প্রভাব:
- শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
- যারা ইতোমধ্যেই আশ্রয় পেয়েছেন, তাদের মর্যাদা নিয়মিতভাবে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
- দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে অনেকেই অনিশ্চয়তায় ভুগবেন।
- মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নীতির সমালোচনা করতে পারে, কারণ এটি শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল জীবনের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করবে।
যুক্তরাজ্যের নতুন আশ্রয় নীতি শরণার্থীদের জন্য বড় পরিবর্তন আনছে। আগে যেখানে পাঁচ বছর পর স্থায়ী বসবাসের সুযোগ ছিল, এখন সেখানে ২০ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে। সরকারের দাবি, এটি অবৈধ প্রবেশ ও আশ্রয়ের আবেদন কমাবে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন, এই নীতি শরণার্থীদের জীবনে আরো অনিশ্চয়তা ও চাপ তৈরি করবে।
logo-1-1740906910.png)