Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

স্পন্সর ভিসায় ইতালিতে বাংলাদেশি শ্রমিক কমতে পারে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩২

স্পন্সর ভিসায় ইতালিতে বাংলাদেশি শ্রমিক কমতে পারে

ইতালি সরকার আগামী তিন বছরে পাঁচ লাখ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা করলেও নতুন আবাসন নীতির জটিলতায় স্পন্সর ও নন-সিজনাল ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় অনেকে পিছিয়ে পড়েছেন। স্থানীয় পৌরসভা থেকে আবাসনের প্রমাণ হিসেবে বাধ্যতামূলক ‘আলেজ্জ’ (allegato বা আবাসন সনদ) সংগ্রহের নিয়ম এবং আবেদনকারীর জন্য আবাসনের ন্যূনতম স্কয়ারফিট সংক্রান্ত কঠোর মানদণ্ড প্রার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য থাকতে হবে ১৪ বর্গমিটার ব্যবহারযোগ্য স্থান; বাথরুম, বারান্দা বা বেলকনি এ গণনায় ধরা হবে না। অর্থাৎ একটি পরিবারের বা একাধিক শ্রমিকের স্পন্সরশিপের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মোট আয়তন কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। এই বিধি বাস্তবে অনেক বাড়িওয়ালা কিংবা হোস্টেল মালিক স্পন্সর হওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করছেন।

নিয়মের জটিলতা এবং কাগজপত্র যাচাইয়ের স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া চালু থাকায় বহু প্রবাসী বাংলাদেশি আবেদন করতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আলেজ্জ সনদ পাওয়ার নিয়মটাই কঠোর হওয়ায় আবেদন আটকে যাচ্ছে। এর সুযোগ নেন অসাধু দালালরা; তারা আবাসন সনদ বা দ্রুত অনুমোদনের নামে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কিছু প্রবাসী ও স্থানীয় এজেন্ট এ নীতির কড়াকড়ি শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছেন, বাস্তবে বহু শ্রমিক ছোটখাটো আবাসনে জীবিতভাবে থাকা সত্ত্বেও কাগজপত্রের কারণে সুযোগ পাচ্ছেন না। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, স্বয়ংক্রিয় যাচাই প্রক্রিয়া ও অনলাইন নিয়মকানুনের কারণে নির্দিষ্ট গোষ্ঠী হয়রানির শিকার হতে পারেন।

ইতালিতে স্পন্সর ভিসার চূড়ান্ত আবেদন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ক্লিক ডে’তে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগাম ফরম পূরণ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং তা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আবাসন মানদণ্ড বজায় থাকলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমে আসতে পারে। কারণ আবেদনকারী ও স্পন্সর উভয়ের জন্যই বাধ্যবাধকতা বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সরকারি ও কূটনৈতিক পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ালে, স্থানীয় পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ে সহায়তা ও গাইডলাইন প্রদান করলে কার্যক্রম সহজতর হবে। অন্যথায় ইতালির শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের অংশগ্রহণে উল্লেখযোগ্য পতন ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছে।

Logo