নোয়াখালীর এক গৃহবধূ নিজের সন্তানকে নিয়ে কানাডায় যাওয়ার স্বপ্নে ৩৫ লাখ টাকা দেন একটি এজেন্সিকে। ভিসা হাতে পেয়ে আত্মীয়দের বিদায় জানিয়ে রওনা হলেও বিমানবন্দরে ধরা পড়ে ভিসাটি জাল। একইভাবে নাইমুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকও পরিবারসহ প্রতারিত হন।
একাত্তর টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শাহেদ নামের এক ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে বাংলাদেশে কানাডার জাল ভিসা সরবরাহের ভয়াবহ প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ ২০ লাখ, কেউবা ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন ভিসার আশায়। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন ভুয়া ভিসা, যার সত্যতা ধরা পড়ে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকিংয়ে।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ঢাকার মুন্সি এয়ার ট্রাভেলসে টাকা ও পাসপোর্ট জমা দেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সামিউল ইসলাম জানান, তিনি পাঁচটি পরিবারের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে শাহেদের প্রতিনিধিকে দিয়েছেন। শাহেদ সেই টাকা নিয়ে জাল ভিসা সরবরাহ করেন।
শাহেদের প্রতারণা এতটাই বিস্তৃত যে, নিজের স্ত্রী ও তার আত্মীয়দের কাছ থেকেও ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে জানা যায়, তাদের বিয়ের কাবিননামাও ছিল জাল। শাহেদ পরে অন্য এক নারীকে বিয়ে করে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
মুন্সি এয়ার ট্রাভেলসের মালিক সামিউল ইসলাম পল্টন থানায় শাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন শাহেদের ফুফাতো ভাই রেওয়ানুল আলম রাহাত, তার মা জাহানারা বেগমসহ চারজন। রাহাতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পাসপোর্ট ও গুরুত্বপূর্ণ আলামত।
ভুক্তভোগীরা শাহেদকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন প্রতারণার শিকার না হয়।
logo-1-1740906910.png)