Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে লাগছে দ্বিগুণ সময়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫

পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে লাগছে দ্বিগুণ সময়

পর্তুগাল সরকার বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্ট পেতে আগ্রহী ধনী অভিবাসীদের জন্য বড় ধাক্কা। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক ভারতীয় উচ্চ-সম্পদধারী ব্যক্তি (HNIs) এখন পর্তুগালের পরিবর্তে অন্য দেশে বিনিয়োগ ও অভিবাসনের সুযোগ খুঁজছেন।

নতুন আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্বের আবেদন করতে হলে ১০ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে, যা আগে ছিল মাত্র ৫ বছর। এই পরিবর্তন ইউরোপে বিনিয়োগভিত্তিক অভিবাসন নীতির প্রতি কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য পর্তুগাল এখন কম আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

ভারতীয় ধনী পরিবারগুলোর মধ্যে যারা ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন গ্রিস, মাল্টা, সংযুক্ত আরব আমিরাত বা সিঙ্গাপুরের মতো তুলনামূলকভাবে সহজ নীতির দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। পর্তুগালের এই সিদ্ধান্ত শুধু অভিবাসন নয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও পুঁজি স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগরিকত্বের সময়সীমা বাড়ানোর ফলে পর্তুগালের ‘গোল্ডেন ভিসা’ কর্মসূচির আকর্ষণ কমে যাবে, যা এতদিন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি জনপ্রিয় পথ ছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট বা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ ছিল।

এছাড়া, পর্তুগালের সরকার এখন নাগরিকত্বের জন্য ভাষা দক্ষতা, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া এবং সামাজিক সংহতির বিষয়গুলোকে আরো গুরুত্ব দিচ্ছে। এই নীতিগত পরিবর্তন দেশটির অভ্যন্তরীণ জনমত ও নিরাপত্তা চাহিদার প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই পরিবর্তনের ফলে পর্তুগালে নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহী ভারতীয়দের সংখ্যা কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যারা দ্রুত ইউরোপীয় পাসপোর্ট পেতে চেয়েছিলেন। অনেকেই এখন নাগরিকত্বের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্সি বা ব্যবসায়িক ভিসার দিকে ঝুঁকছেন।

Logo