যুক্তরাজ্য সরকার অভিবাসীদের জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সংক্রান্ত নিয়ম আরো কঠোর করতে যাচ্ছে। নতুন নীতিমালায় স্থায়ী বসবাসের আবেদন করতে হলে অভিবাসীদের উচ্চতর ইংরেজি ভাষা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ইনফো মাইগ্র্যান্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের লক্ষ্য অভিবাসীদের সমাজে আরো ভালোভাবে সংহত করা হলেও অনেকেই এটিকে বাধা হিসেবে দেখছেন।
নতুন নিয়মে কী থাকছে?
- স্থায়ী বসবাসের জন্য ইংরেজি ভাষায় উচ্চমানের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে
- ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না
- অভিবাসীদের সমাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে
সরকারের দাবি, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে অভিবাসীরা স্থানীয় সমাজে আরো ভালোভাবে মিশতে পারবেন, কর্মসংস্থানে সুবিধা পাবেন এবং সামাজিক সংহতি বাড়বে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই নিয়ম বাস্তবায়ন অভিবাসীদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে, বিশেষ করে যারা কম শিক্ষিত বা ইংরেজি ভাষায় দুর্বল।
অনেক অভিবাসী এমন পেশায় কাজ করেন, যেখানে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন হয় না। তাদের জন্য ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন হতে পারে। এছাড়া ভাষা শেখার সুযোগ, সময় ও খরচ অনেকের জন্য বড় বাধা। ফলে এই নিয়ম বাস্তবায়ন হলে অনেকেই স্থায়ী বসবাসের সুযোগ হারাতে পারেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাষা শেখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেটি বাধ্যতামূলক না করে উৎসাহমূলক হলে ভালো ফল পাওয়া যায়। অভিবাসীদের জন্য ভাষা শেখার সুযোগ, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা বাড়ানো হলে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাজে মিশে যেতে পারেন।
এই নীতির ফলে যুক্তরাজ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা কমতে পারে। একই সঙ্গে যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে আছেন, তাদের জন্য স্থায়ী বসবাসের পথ কঠিন হয়ে উঠবে। এতে করে সামাজিক বৈষম্য ও হতাশা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা।
এই পরিবর্তন যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতিতে একটি বড় মোড়, যা সংহতির বদলে বিভাজন তৈরি করতে পারে- এমনটাই মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
logo-1-1740906910.png)