স্পন্সর ভিসায় বড় সুখবর: ইতালি নেবে পাঁচ লাখ শ্রমিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২১

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সরকারের ঘোষণায় তিন বছরের জন্য মোট প্রায় পাঁচ লাখ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা চালু হয়েছে। শিল্প ও পর্যটন খাতে কর্মী ঘাটতি মেটাতে নন-ইউরোপীয় ৩৮টি দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া আগাম ফরম পূরণের মাধ্যমে ২৩ অক্টোবর সকালে শুরু হয়ে চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সময় নিউজ এ সংবাদ জানিয়েছে।
নতুন নিয়মে ভিসা প্রাপ্তির শর্ত আরো কঠোর রাখা হয়েছে। স্পন্সরশিপ বা মালিকের পক্ষ থেকে আবেদন করতে হলে মালিকের পূর্ণাঙ্গ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে হবে। সরকার জানিয়েছে, মালিকের তথ্য সঠিক ও যাচাইযোগ্য না হলে আবেদন বাতিল হবে। এছাড়া কেবল যোগ্য, দক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকা শ্রমিকরাই আবেদন করতে পারবেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশিসহ আবেদনকারীরা প্রথমে অনলাইন আগাম ফরম পূরণ করবেন। এরপর নির্দিষ্ট “ক্লিক ডে”তে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ২০২৬ সালের ক্লিক ডে নির্ধারিত হয়েছে ১২ জানুয়ারি, ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি। আগাম ফরম পূরণকারী আবেদনকারীরা ক্লিক ডে নির্দিষ্ট সময়ে পোর্টালে ক্লিক করে আবেদনই সম্পূর্ণ করবেন। এরপর মালিক ও শ্রমিকের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করে ভিসা অনুমোদন পত্র ইস্যু করা হবে।
ইতালির উদ্দেশ্য এবার যে কোনো অনিয়ম বা দালাল চক্রের মাধ্যমে ভিসা পক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা। সরকারি অনুশাসন কঠোর হওয়ায় শুধু পাকা নিয়োগকারীর ও যোগ্য কর্মীরাই সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রবাসীরা বলছেন, এ নিয়ম সফল হলে ঢাকায় আবেদন প্রক্রিয়ায় হয়রানি কমবে এবং অনিয়মে বাধিত ভিসা কমে যাবে।
কোটা বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন বছরে প্রথমে ৪৫২ হাজার কর্মীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে প্রায় পাঁচ লাখ করা হয়েছে। এই কোটা পূরণে দক্ষ ও উপযুক্ত কর্মীগণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এতে ইতালির নির্মাণ, কৃষি, পর্যটন ও সেবা খাতের কর্মী ফাঁক পূরণে সহায়তা মিলবে।
বিদেশগমনপ্রত্যাশীদের জন্য সরকারি নির্দেশ:
- ক্লিক ডে ও পোর্টাল ছাড়াও কোনো আউটসোর্স বা দালালের কাছ থেকে ফর্ম পূরণ করাবেন না।
- মালিক ও নিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
- বৈধ চ্যানেল ব্যবহারে আবেদনকারীর ঝুঁকি ও সময় বাঁচবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর যাচাই ও স্বয়ংক্রিয় ভেরিফিকেশন সিস্টেম সঠিকভাবে কার্যকর হলে শ্রমবাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে। তবে দরকার অনলাইন সেবা ও কনসাল্টিং বিষয়ে সরকারের প্রচারণা, যাতে গ্রাম-শহরের দরিদ্র প্রার্থীরা সঠিক তথ্য নিয়ে আবেদন করতে পারে এবং দালালজাল এড়াতে পারে।