১০ মাসে সমুদ্রপথে ইতালিতে সাড়ে ১৬ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৯
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানোদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছেন বাংলাদেশিরা। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই সময়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছে প্রায় ১৬ হাজার ৫৫২ জন বাংলাদেশি। ইনফো মাইগ্রেন্টসের তথ্যমতে, এ বছরের পরিসংখ্যান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
দেশভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালিতে সমুদ্রপথে মোট আগতের সংখ্যা হচ্ছে ৫৫ হাজার ৯৪৮ জন, যেখানে বাংলাদেশির সংখ্যা এ তালিকার মধ্যে অগ্রাধিকার বজায় রাখছে। একই সময়ে মিসর থেকে আনুমানিক ৭ হাজার ৬৯০ জন এবং ইরিত্রিয়া থেকে ৬ হাজার ৮৮৭ জন পৌঁছেছে; অন্যদিকে পাকিস্তান, সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও তিউনিসিয়া ইত্যাদি দেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
প্রবাহের এই নাটকীয় বৃদ্ধি কয়েকটি কারণে ধরা হচ্ছে। প্রথমত, অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সংকট মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ পথে বিদেশে কাজ খোঁজার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মানব পাচারকারী নেটওয়ার্ক ও দালালদের সক্রিয় কার্যক্রম এবং অন্যান্য পাচার রুটের চেয়ে সাশ্রয়ী কিন্তু বিপজ্জনক নৌযানের সহজলভ্যতা এই পথকে ত্বরান্বিত করছে। এসব বিশ্লেষণ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিডিয়ায় উঠে আসা রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ইতালির উপকূলীয় উদ্ধার ও আবাস ব্যবস্থায় চাপ বেড়ে যায়, আফ্রিকা ও এশিয়া উভয় প্রেরক দেশে পারিবারিক ক্ষতি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায়। ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য অর্গানাইজেশন উদ্ধারকারী কার্যক্রম ও আশ্রয় সেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেও মৌলিক প্রতিকার হিসেবে স্থায়ী কর্মসংস্থান, নিরাপদ শ্রমবাজার এবং বৈধ অভিবাসন পথ তৈরি করা জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশিসহ প্রেরক দেশগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সতর্কতা, তথ্যচারণা ও বৈধ অভিবাসন সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন; অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় মানব পাচার রোধ ও নিরাপদ বিকল্প শ্রমবাজার তৈরিই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
logo-1-1740906910.png)