Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

ইউরোপে নতুন চালু হওয়া ডিজিটাল বর্ডার সিস্টেম কী?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩০

ইউরোপে নতুন চালু হওয়া ডিজিটাল বর্ডার সিস্টেম কী?

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ধাপে ধাপে চালু করছে একটি নতুন ডিজিটাল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, যার নাম ‘এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম’ (EES)। এই প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির লক্ষ্য হলো ইউরোপে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় ভ্রমণকারীদের তথ্য আরো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করা।

২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে এই নতুন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। প্রথমে এটি সীমিত কিছু সীমান্তে ব্যবহার করা হলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যে পুরো ইউরোপজুড়ে চালু হবে।

নতুন এই সিস্টেমে ইউরোপে প্রবেশকারী ভিসাবিহীন ভ্রমণকারীদের পাসপোর্ট স্ক্যান করা হবে এবং তাদের আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি (বায়োমেট্রিক তথ্য) সংগ্রহ করা হবে। এর ফলে প্রতিবার পাসপোর্টে সিল দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব রাখবে কে কখন প্রবেশ করেছে এবং কতদিন থাকার অনুমতি রয়েছে।

ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, এই ডিজিটাল পদ্ধতি সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াবে এবং অবৈধভাবে বেশি দিন থাকা রোধ করবে। একই সঙ্গে এটি অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরো স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে।

তবে এই পরিবর্তন নিয়ে কিছু উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্তে ভ্রমণকারীদের জন্য প্রাথমিকভাবে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে, কারণ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সময় লাগবে। এছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে; এই বায়োমেট্রিক তথ্য কতটা নিরাপদ থাকবে, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।

ইউরোপের সেনজেন অঞ্চলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় পরিবর্তন। আগে যেখানে শুধু পাসপোর্ট দেখিয়ে প্রবেশ করা যেত, এখন সেখানে ডিজিটাল স্ক্যান ও তথ্য সংগ্রহ বাধ্যতামূলক হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রযুক্তি একদিকে যেমন নিরাপত্তা বাড়াবে, অন্যদিকে এটি ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতাও বদলে দেবে। ভবিষ্যতে হয়তো সীমান্তে দীর্ঘ লাইনের বদলে স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন বুথে কয়েক মিনিটেই কাজ শেষ হবে।

এই ডিজিটাল সীমান্ত ব্যবস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতির একটি বড় পদক্ষেপ। যদিও শুরুতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ভ্রমণকে আরো সহজ, নিরাপদ ও আধুনিক করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Logo