
২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) নতুন বায়োমেট্রিক সীমান্ত চেক চালু করতে যাচ্ছে, যা পাসপোর্টে সিল দেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করবে। এই Entry/Exit System (EES) চালু হবে ১২ অক্টোবর থেকে, যা ইইউর বাইরের দেশ থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ভ্রমণকারীদের পাসপোর্ট স্ক্যান করার পাশাপাশি তাদের আঙুলের ছাপ ও ছবি সংগ্রহ করা হবে। এই তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে ইইউতে আগমন ও প্রস্থানের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হয়। ফলে পাসপোর্টে আর কোনো সিল দেওয়া হবে না।
যারা ইইউর বাইরের নাগরিক এবং ভিসা ছাড়া ৯০ দিনের জন্য ইইউতে ভ্রমণ করেন, তারা এই নতুন ব্যবস্থার আওতায় পড়বেন। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ আরো অনেক দেশের নাগরিক।
ইইউ জানিয়েছে, পাসপোর্টে সিল দেওয়া পদ্ধতিতে ভুলভ্রান্তি, অস্পষ্টতা এবং জালিয়াতির আশঙ্কা থাকে। নতুন ডিজিটাল পদ্ধতিতে এসব সমস্যা দূর হবে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে।
যাত্রার সময় অতিরিক্ত কিছু সময় লাগতে পারে, কারণ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহে সময় লাগবে। তবে একবার তথ্য সংগ্রহ হয়ে গেলে পরবর্তী যাত্রায় তা সহজ হবে। যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাত্রার আগে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা জেনে নিতে।
অনেকে পাসপোর্টে সিলকে ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে রাখেন। নতুন ব্যবস্থায় তা আর সম্ভব নয়। বিকল্প হিসেবে বোর্ডিং পাস, পোস্টকার্ড বা স্থানীয় স্মারক সংগ্রহ করতে পারেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিবর্তন ইইউর সীমান্ত ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক, নিরাপদ ও কার্যকর করে তুলবে। তবে শুরুতে কিছুটা বিভ্রান্তি ও সময় লাগলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান