পর্তুগালে কঠোর অভিবাসন নীতিতে বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৮
পর্তুগালে নতুন অভিবাসন নীতির কঠোর শর্তে বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশটির অভিবাসন অধিদপ্তর এআইএমএ (AIMA) রেসিডেন্ট কার্ড নবায়নের ক্ষেত্রে বসবাসের প্রমাণপত্র ও আয়ের বিস্তারিত হিসাব দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে, যা অভিবাসীদের জন্য এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন করতে না পারা অভিবাসীরা গত জুনে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন, যখন এআইএমএ নবায়নের সুযোগ দেয়। কিন্তু এখনো তাদের কাছ থেকে বাড়ির মূল মালিকের ঘোষণাপত্র চাওয়া হচ্ছে, যা অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি কাজের ধরন অনুযায়ী আয়ের ঘোষণাপত্র এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী আয়ের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পর্তুগালে ছয় বছর ধরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কামরুজ্জামান জানান, “আগে মিউনিসিপ্যালিটি থেকে ঠিকানার প্রমাণপত্র দিয়েই রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছি। এখন বাসার মালিক প্রত্যয়নপত্র দিতে রাজি না হওয়ায় আমি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছি।”
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের জাতীয় সংসদে নতুন অভিবাসন আইন অনুমোদিত হয়েছে, যেখানে পারিবারিক পুনর্মিলনের শর্তসহ আরো কিছু বিধিনিষেধ কঠোর করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এই আইন কার্যকর হবে। তবে তার আগেই অভিবাসন অধিদপ্তর নিজস্ব ক্ষমতায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশিদের নয়, অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের জীবনেও প্রভাব ফেলছে। তবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি আরো জটিল। কারণ অনেকেই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র পাচ্ছেন না, আবার অনেকে অনিয়মিত কাজের কারণে আয় সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন অভিবাসন নীতির কারণে পর্তুগালে প্রবাসীদের জীবনযাত্রা আরো অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন না হলে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, চাকরি ও সামাজিক নিরাপত্তা থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারেন।
পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে এআইএমএর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা আশা করছেন, অভিবাসীদের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুটা নমনীয় হবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর
logo-1-1740906910.png)