পর্তুগাল সরকার অক্টোবর ২০২৫ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য বিমানবন্দর ও সীমান্তে বায়োমেট্রিক চেক চালু করেছে। এই নতুন ব্যবস্থা ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থানের প্রক্রিয়া আরো সহজ ও দ্রুত করছে বলে আশা করা হচ্ছে।
বায়োমেট্রিক চেক বলতে বোঝায়- ভ্রমণকারীর মুখের ছবি, আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য স্ক্যান করে পরিচয় নিশ্চিত করা। এটি পাসপোর্ট বা ভিসার তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করে। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পরিচয় যাচাইয়ের ঝামেলা কমে যাচ্ছে।
এই ব্যবস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে আগত ভিসাধারী পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য। বিশেষ করে যেসব পর্যটক সেনজেন অঞ্চলে প্রবেশ করছেন, তাদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক। তবে ইউরোপীয় নাগরিকদের জন্য কিছু ছাড় থাকবে।
পর্তুগাল সরকার জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীমান্তে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা যাবে। একই সঙ্গে যাত্রীদের সময়ও সাশ্রয় হবে। বিমানবন্দরে স্বয়ংক্রিয় গেট ব্যবহার করে দ্রুত প্রবেশ ও প্রস্থান সম্ভব হবে, যা ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
পর্তুগাল শুধু বিমানবন্দরেই নয়, স্থল ও সমুদ্র সীমান্তেও এই প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা করছে। পর্যটন খাতকে আরো নিরাপদ ও আধুনিক করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম’ (EES) প্রকল্পের অংশ হিসেবে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস ওয়ার্ল্ড
logo-1-1740906910.png)