এস্তোনিয়ায় তীব্র শ্রমিক সংকট, বিদেশি কর্মীর চাহিদা বাড়ছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৭
এস্তোনিয়ায় শ্রমিক সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন খাতে কর্মী ঘাটতি পূরণে এখন বিদেশি শ্রমিকদের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। স্থানীয় নিয়োগদাতা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে “সব হাত দরকার” অর্থাৎ স্থানীয় ও বিদেশি উভয় শ্রমিকই অপরিহার্য।
এস্তোনিয়ার ব্যবসায়িক সংগঠন এবং নিয়োগদাতারা জানিয়েছেন, নির্মাণ, পরিষেবা, কৃষি, প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীর অভাব প্রকট। দেশটির জনসংখ্যা কম এবং কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় এই সংকট আরো জটিল হয়ে উঠেছে।
নিয়োগদাতারা বলছেন, স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। তাই ইউক্রেন, জর্জিয়া, ফিলিপাইন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করেছে।
তবে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে রয়েছে কিছু আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা। ভিসা প্রক্রিয়া, কোটা সীমা এবং ভাষাগত বাধা অনেক সময় নিয়োগে বিলম্ব ঘটায়। নিয়োগদাতারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন শ্রমিক আমদানির নিয়ম আরও সহজ ও দ্রুত করা হয়।
শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এতে দেশের রপ্তানি, অভ্যন্তরীণ বাজার এবং কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো শ্রমিক না পেলে এস্তোনিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
এস্তোনিয়ার সরকার ইতোমধ্যে কিছু খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের নিয়ম শিথিল করেছে। তবে নিয়োগদাতারা আরো নমনীয়তা চান, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান ও পরিবারসহ বসবাসের সুযোগে। পাশাপাশি স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ ও পুনঃস্কিলিংয়ের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে এস্তোনিয়ার শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিয়োগদাতা ও সরকার যদি যৌথভাবে নীতিগত বাধা দূর করে, তাহলে দেশটির অর্থনীতি ও শিল্প খাত আবার গতিশীল হতে পারে।
তথ্যসূত্র: নিউজ ডট ইআরআর
logo-1-1740906910.png)