বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম কঠিন করছে ডেনমার্ক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৫
বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসানীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্ক৷ কারণ হিসেবে দেশটির সরকার অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার নাম করে শ্রমবাজারে ঢোকা ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিচ্ছে। ইনফো মাইগ্রেন্টস বাংলা এই খবর দিয়েছে।
ডেনমার্ক সরকারের অভিবাসন ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ গত ১৮ সেপ্টেম্বর। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, ডেনমার্কে পড়াশোনার উদ্দেশে এলে বাংলাদেশ ও নেপালের শিক্ষার্থীরা শ্রমবাজারে প্রবেশের জন্য পেছনের দরজা ব্যবহার করছেন। এমন অবস্থা ঠেকাতে নানা কঠিন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ডেনমার্ক। তার মধ্যে রয়েছে-
১। যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া বাংলাদেশি ও নেপালিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না করানো।
২। ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্ত কঠোর করা এবং তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনার সুযোগ বাতিল করা হবে৷
৩। বিদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত সনদের যাচাই-বাছাইয়ের নিয়ম আরো কঠোর করা।
৪। ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ভর্তির শর্ত কঠোর করা হবে৷
৫। জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি জালিয়াতির শাস্তিও কঠোর করা হবে৷
৬। বিদেশি শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত করার আগে তার শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে হবে৷
৭। যারা ভর্তির সুযোগ পাবেন, তাদেরও কড়া নজরদারিতে রাখা হবে৷
৮। যদি তারা ঠিকমতো পড়াশোনা না করেন, তাহলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷
৯। তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের তাদের পড়াশোনার খরচের বড় অংশ শুরুতেই পরিশোধ করতে হবে৷
১০। ডেনমার্কে পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খোঁজার সময়সীমাও কমানো হবে৷ বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খোঁজার জন্য তিন বছর সময় পান৷ ভবিষ্যতে এই সময়সীমা কমিয়ে এক বছর করা হবে৷
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে ডেনমার্কে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি৷ গত বছর ২ হাজার ৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন৷
যদিও ডেনমার্ক সরকারের এমন অভিযোগের বিষয়ে ডেনমার্কের বাংলাদেশ দূতাবাস উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, দেশটির এমন ঢালাও অভিযোগ বিভ্রান্তিকর।
logo-1-1740906910.png)