মাত্র ২০ হাজার টাকায় এস্তোনিয়ায় বসবাস ও কাজের সুযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭

ইউরোপের প্রযুক্তিনির্ভর দেশ এস্তোনিয়া চালু করেছে এক নতুন ও আকর্ষণীয় উদ্যোগ- ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা। মাত্র ২০ হাজার টাকার (১৪০ ইউরো) নিচে খরচে এই ভিসার মাধ্যমে আপনি এক বছর এস্তোনিয়ায় বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাবেন। যারা রিমোট জব করেন বা অনলাইন ভিত্তিক পেশায় যুক্ত, তাদের জন্য এটি হতে পারে ইউরোপে কাজ ও ভ্রমণের এক দুর্দান্ত সুযোগ।
এই ভিসা মূলত তাদের জন্য, যারা অন্য দেশের নাগরিক হয়েও অনলাইনে কাজ করেন এবং আয় করেন। এস্তোনিয়া চায় এমন পেশাজীবীরা দেশটিতে এসে বসবাস করুক, স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখুক এবং একই সঙ্গে ইউরোপীয় জীবনধারার অভিজ্ঞতা অর্জন করুক।
ডিজিটাল নোম্যাড ভিসার আবেদন করতে হলে প্রার্থীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, সে রিমোটভাবে কাজ করছে- চুক্তিভিত্তিক, উদ্যোক্তা বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। পাশাপাশি মাসিক আয় কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০৪ ইউরো (প্রায় ৫ লাখ টাকা) হতে হবে, যা গত ছয় মাস ধরে নিয়মিত এসেছে- এমন প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে।
ভিসা আবেদনকারীদের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট, ছবি, কাজের প্রমাণ, আয় সংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্বাস্থ্যবীমা এবং এস্তোনিয়ায় থাকার ঠিকানা। আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
এই ভিসার মাধ্যমে আপনি শুধু এস্তোনিয়ায় নয় বরং সেনজেনভুক্ত অন্যান্য দেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন। ফলে কাজের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে দেখার সুযোগও মিলবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এস্তোনিয়ার এই উদ্যোগ প্রযুক্তিনির্ভর পেশাজীবীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান থেকে যারা ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট জব করছেন, তাদের জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী ও বাস্তবসম্মত সুযোগ।
এস্তোনিয়া ইতোমধ্যে ডিজিটাল সেবায় বিশ্বজুড়ে পরিচিত। দেশটি ই-গভর্ন্যান্স, স্টার্টআপ সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তিনির্ভর নাগরিক সুবিধায় অগ্রগামী। ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা সেই ধারাকে আরো বিস্তৃত করছে।
যারা ইউরোপে কাজ ও বসবাস করতে চান, কিন্তু স্থায়ী ভিসা বা চাকরির সুযোগ পান না, তাদের জন্য এস্তোনিয়ার এই ভিসা হতে পারে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি