
ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণে সেনজেন ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে অনেকেই ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কায় দ্বিধায় থাকেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, কোন দেশগুলোতে সেনজেন ভিসার আবেদন করলে অনুমোদনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউরোপের কয়েকটি দেশে সেনজেন ভিসার অনুমোদনের হার ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে লিথুয়ানিয়া, যেখানে আবেদনকারীদের ৯০.৭ শতাংশই ভিসা পেয়েছেন। এরপর রয়েছে লাটভিয়া (৮৯.৪%), স্লোভাকিয়া (৮৮.৭%), পোল্যান্ড (৮৮.৬%) এবং ফিনল্যান্ড (৮৮.১%)।
এই দেশগুলোতে আবেদন করলে শুধু অনুমোদনের সম্ভাবনা বেশি নয় বরং অপেক্ষার সময়ও তুলনামূলকভাবে কম। বিশেষ করে যারা প্রথমবার ইউরোপ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এসব দূতাবাসে আবেদন করা সুবিধাজনক হতে পারে।
অন্যদিকে, কিছু দেশে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। যেমন: সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন। এই দেশগুলোতে আবেদনকারীদের অনেকেই ভিসা পান না। ২০২৪ সালে ফ্রান্সে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ছিল প্রায় ২০ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিসা অনুমোদনের হার শুধু দূতাবাসের নীতির ওপর নির্ভর করে না, বরং আবেদনকারীর কাগজপত্র, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, আর্থিক সক্ষমতা এবং পূর্ববর্তী ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ওপরও নির্ভর করে।
সেনজেন ভিসা দিয়ে আপনি ইউরোপের ২৭টি দেশে অবাধে ভ্রমণ করতে পারবেন। তাই ভিসা আবেদন করার আগে সঠিক দূতাবাস নির্বাচন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া বা পোল্যান্ডের দূতাবাসে আবেদন করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। এসব দেশে ভিসা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং প্রত্যাখ্যানের হার কম।
ভিসা আবেদনকারীদের জন্য পরামর্শ হলো আবেদনপত্রে ভুল না রাখা, ব্যাংক স্টেটমেন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স দেখানো, হোটেল ও ফ্লাইট বুকিং নিশ্চিত করা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা।
সঠিক পরিকল্পনা ও দূতাবাস নির্বাচনের মাধ্যমে ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই ভিসা আবেদন করার আগে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
তথ্যসূত্র: সেনজেন নিউজ