Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের জন্য সমাজে অবদান রাখতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২২

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের জন্য সমাজে অবদান রাখতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইলে অভিবাসীদের সমাজে অবদান রাখার প্রমাণ দিতে হবে- এমনই নতুন নীতির ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। লেবার পার্টির সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীরা পাঁচ বছর পর ‘ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন’ বা স্থায়ী বসবাসের আবেদন করতে পারেন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, এই সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হবে এবং আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা, অপরাধমুক্ত জীবন এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার প্রমাণ দিতে হবে।

শাবানা মাহমুদ বলেন, “অভিবাসন ন্যায্য হতে হবে, সীমান্ত নিরাপদ রাখতে হবে এবং আমাদের দেশকে উদার ও সহনশীল রাখতে হলে অভিবাসীদের সমাজে সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে।”

লেবার পার্টি জানিয়েছে, এই নীতি রিফর্ম ইউকে দলের সঙ্গে তাদের পার্থক্য স্পষ্ট করে। রিফর্ম ইউকে স্থায়ী বসবাসের সুবিধা পুরোপুরি বাতিল করে পাঁচ বছর পরপর পুনরায় ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম চালু করতে চায়। লেবার বলছে, এতে করে বহু বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ও অবদান রাখা অভিবাসীরা পরিবারসহ অনিশ্চয়তায় পড়বেন।

প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার রিফর্ম ইউকের এই নীতিকে “বর্ণবাদী ও অমানবিক” বলে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজ বলেছেন, “লেবার পার্টি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করে না” এবং প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে “হতাশাজনক আক্রমণ” বলে অভিহিত করেছেন।

শাবানা মাহমুদ আরো বলেন, অভিবাসীদের জাতীয় বীমা (National Insurance) অবদান, সরকারি ভাতা না নেওয়া এবং কমিউনিটিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ দক্ষতা বা অবদানের ভিত্তিতে কিছু বিদেশি নাগরিক আগেভাগেই স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে পারেন।

তিনি তার নিজের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। শিশু বয়সে পরিবারের দোকানে কাজ করার সময় তিনি চুরির শিকার হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি “উইন্টার অব অ্যাকশন” নামে একটি নতুন কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছেন, যার মাধ্যমে দেশজুড়ে পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা একযোগে দোকানপাটে চুরি প্রতিরোধে কাজ করবে।

এই নীতিগুলো বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Logo