Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

৪১ বাংলাদেশিকে ভিসা দিতে লন্ডন মেয়রের জালিয়াতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১০

৪১ বাংলাদেশিকে ভিসা দিতে লন্ডন মেয়রের জালিয়াতি

লন্ডনের এনফিল্ড কাউন্সিলের সাবেক মেয়র ও লেবার পার্টির রাজনীতিক মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম নিজের পদ ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ৪১ জন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের জন্য ভিসা আদায়ের চেষ্টা করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিবাসন অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, কাউন্সিলের সরকারি ক্রেস্ট ও লোগোযুক্ত লেটারহেড ব্যবহার করে ‘আধিকারিক’ ও ‘জালিয়াতিপূর্ণ’ চিঠি ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে পাঠান আমিরুল ইসলাম। এসব চিঠিতে ৪১ জনের ভিসা আবেদন ‘বিশেষ বিবেচনায়’ দেখার অনুরোধ জানানো হয়।

তদন্তে জানা গেছে, এসব চিঠির কয়েকটি তিনি মেয়র হওয়ার আগেই পাঠিয়েছেন। কাউন্সিলের কর্মকর্তারা চিঠি প্রস্তুতে অস্বস্তি প্রকাশ করলে তিনি নিজেই জালিয়াতি করে চিঠি পাঠান। ১৩টি চিঠি মেয়রের দপ্তর থেকে পাঠানো হয়, যার মধ্যে ছয়টি তিনি নিজে পাঠিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। বাকি ১১টির ক্ষেত্রেও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

চিঠিগুলোতে অভিষেক অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হয় এবং খরচ বহনের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪১ জনের মধ্যে মাত্র একজন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এনফিল্ড কাউন্সিলের স্বাধীন তদন্তে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলাম ব্যক্তিগত স্বার্থে পদ ব্যবহার করে ‘অসততা’ প্রদর্শন করেছেন এবং কাউন্সিলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। তার কর্মকাণ্ডে ‘নিয়মিত আচরণের ধারা’ দেখা যায় বলেও মন্তব্য করা হয়।

তবে নিজের পক্ষে তিনি দাবি করেন, আগের মেয়ররাও একইভাবে ভিসা সুপারিশ করেছেন এবং একটি বাংলাদেশি এজেন্সি তার স্বাক্ষর জাল করে কিছু চিঠি পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তার সুপারিশে কোনো ভিসা অনুমোদিত হয়নি।

২০২৫ সালের জুনে লেবার পার্টি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। বর্তমানে তিনি স্বতন্ত্র কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাউন্সিল তাকে ক্ষমা চাইতে, আচরণবিধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে এবং ভবিষ্যতে ভিসা সংক্রান্ত কাজে পদ ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে। সাবেক মেয়রের ব্যাজ ব্যবহার না করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

কনজারভেটিভ পার্টির বিরোধীদলীয় নেতা ক্লার জর্জিও আলেসান্দ্রো বলেন, “লেবার কাউন্সিল আগেই অভিযোগ জানত, তারপরও তাকে মেয়র করেছে। এতে পুরো কাউন্সিল কলঙ্কিত হয়েছে।"

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তদন্ত চলমান থাকায় তারা এখনই মন্তব্য করবে না, তবে অভিবাসন অপরাধের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হয়।

তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

Logo