ইউরোপে অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য ‘ভুল’: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-সংক্রান্ত মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো “নরকে যাচ্ছে” বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয়।
২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ট্রাম্প বলেন, “অবাধ অভিবাসনের কারণে দেশগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।” এর জবাবে স্টারমার বলেন, “আমাদের দেশে সহানুভূতিশীল, যুক্তিবাদী ও সহনশীল মানুষ রয়েছে। আমি আমাদের জনগণের জন্য গর্বিত”।
বিবিসি সাউথ ইস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টারমার বলেন, “আমরা অনেক বিষয়ে একমত, আবার কিছু বিষয়ে মতভেদ আছে। এটি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কের স্বাভাবিক অংশ।" তিনি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন, তবে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে এসে ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সেনাবাহিনী ব্যবহারের পরামর্শ দেন, যা পরে এক ব্রিটিশ মন্ত্রী প্রত্যাখ্যান করেন।
স্টারমার বলেন, চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করেছেন। “যত বেশি সম্ভব অভিবাসীকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠাতে চাই,” বলেন তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত মাত্র চারজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তিনি বলেন, “আমরা প্রমাণ করেছি এটা সম্ভব, এখন এর পরিধি বাড়াতে হবে”।
তিনি আরো বলেন, রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠানোর পূর্ববর্তী পরিকল্পনা কার্যকর প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ ছিল না, কারণ তা মোট আগতদের ১ শতাংশেরও কমকে প্রভাবিত করত। তবে তিনি নিজ পরিকল্পনায় কতজনকে ফেরত পাঠানো হবে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
“এখানে কোনো ম্যাজিক সমাধান নেই,” বলেন স্টারমার। “আমাদের ফ্রান্সের সঙ্গে সমুদ্রপথে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে হবে”।
শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সহায়তার বর্তমান ব্যবস্থা কার্যকর নয়। “অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, এই ব্যবস্থা ভালোভাবে কাজ করছে না,” বলেন তিনি। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যত্ন পরিকল্পনা বাতিলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
আগামী বছরের লেবার পার্টি সম্মেলনের আগে নিজের অবস্থান নিয়ে আশাবাদী স্টারমার, যদিও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি