অবৈধ অভিবাসনের জেরে যুক্তরাজ্যের ভিসা স্থগিতের হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৪

অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে গড়িমসি করছে, তাদের জন্য ভবিষ্যতে ভিসা সুবিধা সীমিত করা হতে পারে। তিনি বলেন, “সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হয়। যদি কোনো নাগরিকের যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশকে তাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।”
ভিসা স্থগিতাদেশে কোন দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, তা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আগেই জানিয়েছেন, ভিসা ইস্যুতে তিনি ‘‘লেনদেনমূলক” পদ্ধতির পক্ষে। অর্থাৎ, কোনো দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ে যত বেশি সহযোগিতা করবে, তত বেশি ভিসা সুবিধা পাবে।
এদিকে, ‘ফাইভ আইস’ জোটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন চুক্তির মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, “যাদের যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার নেই, তাদের ফেরত পাঠাতে আমরা সব ধরনের কৌশল প্রয়োগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ”।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে, যা ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। বার্তা সংস্থা পিএ-এর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন অবজারভেটরির পরিচালক ড. ম্যাডেলিন সাম্পশন বলেন, “অনেক দেশেই প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর হার কম, অথচ সেই দেশগুলোর নাগরিকদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ভিসার চাহিদা বেশি।” তিনি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের উদাহরণ তুলে ধরেন।
তবে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ক্রিস ফিলিপ সরকারের পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “লেবার সরকার শুধু কঠোর কথা বলছে, কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এখন সময় এসেছে সত্যিকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।”
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ