পড়ালেখা শেষে দেশে ফিরতে হবে; যুক্তরাজ্য সরকারের বার্তা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭
যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি এক নতুন প্রচারণা শুরু করেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে- ভিসার মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরতে হবে, না হলে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হবে।
হোম অফিস জানিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী আইনি পথে ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে এসে পরে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আশ্রয় (asylum) আবেদন করছেন, যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে ১৪ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী আশ্রয় আবেদন করেছেন, যা মোট আবেদনকারীর ১৩%। সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে পাকিস্তান থেকে (৫,৭০০ জন); এরপর ভারত, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া। যদিও গত বছরের তুলনায় সংখ্যা কিছুটা কমেছে, তবুও ২০২০ সালের তুলনায় এটি ছয় গুণ বেশি।
হোম অফিস প্রথমবারের মতো টেক্সট ও ই-মেইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সরাসরি বার্তা পাঠাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে বার্তা পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
বার্তায় বলা হচ্ছে, “যদি আপনার আশ্রয় আবেদন অযৌক্তিক হয়, তা দ্রুত ও কঠোরভাবে বাতিল করা হবে। যদি আপনার যুক্তরাজ্যে থাকার কোনো বৈধ অধিকার না থাকে, আপনাকে দেশ ছাড়তে হবে। না ছাড়লে, সরকার আপনাকে ফেরত পাঠাবে”।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংগঠন “Universities UK” বলেছে, তারা সরকারের উদ্বেগ বুঝতে পারছে এবং তথ্য আদান-প্রদানের উন্নয়ন চায়, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
অন্যদিকে, Refugee Council বলেছে, অনেক শিক্ষার্থীর নিজ দেশে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বা তারা যুক্তরাজ্যে এসে নিরাপদ বোধ করায় তখনই আশ্রয় চান। তাই সবাইকে “ব্যবস্থা অপব্যবহারকারী” বলা ঠিক নয়।
যুক্তরাজ্য সরকার অবৈধভাবে থাকার প্রবণতা কমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় আসল আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচিত ভিসার মেয়াদ ও নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকা, যাতে ভবিষ্যতে জটিলতায় না পড়তে হয়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
logo-1-1740906910.png)