
সাইপ্রাস ইউরোপের অন্যতম প্রবাসীবান্ধব উদ্যোক্তা গন্তব্য হিসেবে উঠে এসেছে। সম্প্রতি উইলিয়াম রাসেল পরিচালিত একটি ইউরোপব্যাপী জরিপে দেশটি প্রবাসী উদ্যোক্তাদের জন্য পঞ্চম সেরা স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। স্টার্টআপ, ব্যবসায় টিকে থাকার হার এবং করবান্ধব নীতিমালার কারণে সাইপ্রাস এই অবস্থান অর্জন করেছে। যদিও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
জরিপ অনুযায়ী, সাইপ্রাসে প্রতি ১ হাজার কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ১২.৭৯টি নতুন ব্যবসা শুরু হয়, যা ইউরোপের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি দেশটিতে ৮৭ শতাংশের বেশি স্টার্টআপ প্রথম বছরেই টিকে থাকে, যা একটি সহায়ক ব্যবসায়িক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়। তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ মাত্র ৩ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার), যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম।
তবুও সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত একটি ভূমধ্যসাগরীয় দেশ হিসেবে উদ্যোক্তাদের কাছে আকর্ষণীয়। কর সুবিধা, ডিজিটাল নোম্যাড সম্প্রদায়ের বিকাশ এবং জীবনযাত্রার মান দেশটিকে প্রবাসী উদ্যোক্তাদের জন্য উপযোগী করে তুলেছে। জরিপে সাইপ্রাসের ‘এক্সপ্যাট উদ্যোক্তা স্কোর’ ছিল ৬.৭৭/১০, যেখানে দেশটির ১০ জন ব্যবসায়ী ফোর্বসের ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।
জরিপে যুক্তরাজ্য প্রথম স্থান পেয়েছে ৮.৬৬ স্কোর নিয়ে। সেখানে প্রতি ১ হাজার কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ১৮.৬২টি নতুন ব্যবসা শুরু হয় এবং ৮৯.২ শতাংশ স্টার্টআপ টিকে থাকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন (৮.০১), যার স্টার্টআপ টিকে থাকার হার ৯৭.১ শতাংশ, যা ইউরোপে সর্বোচ্চ। নেদারল্যান্ডস (৭.৪৭) এবং সুইজারল্যান্ড (৭.৩৭) যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
সাইপ্রাসের এই অবস্থান প্রমাণ করে, সীমিত বিনিয়োগের পরেও একটি সহায়ক নীতিমালা, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ একটি দেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কতটা এগিয়ে নিতে পারে।
তথ্যসূত্র: সাইপ্রাস মেইল