Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

জার্মানিতে অভিবাসী নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৩

জার্মানিতে অভিবাসী নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ

২০১৫ সালে জার্মানি সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে আগত অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। তবে অভিবাসী নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের পথ এখনো সহজ নয়। নিরাপত্তা পেলেও মানসিক স্থিতি, ভাষা দক্ষতা, সন্তান পালন ও যোগ্যতার স্বীকৃতি; সব মিলিয়ে তাদের সামনে রয়েছে একাধিক প্রতিবন্ধকতা।

আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ ডোনিয়া (ছদ্মনাম) জানান, জার্মানিতে প্রথম রাতে তিনি বহুদিন পর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বয়স্কদের যত্ন নেওয়ার কাজে নিয়োজিত, আট মাসের প্রশিক্ষণ শেষে এই চাকরি পেয়েছেন। তাকে সহায়তা করেছে ‘ওয়ার্ক ফর রিফিউজিস’ প্রকল্প, যা বার্লিন সেনেটের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।

তবে ডোনিয়ার মতো সবার গল্প এত সহজ নয়। 'ইনস্টিটিউট অব এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ' ও 'ফেডারেল অফিস ফর রিফিউজিস'-এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আট বছর পরও দুই-তৃতীয়াংশ নারী অভিবাসী কর্মহীন। গবেষক মায়ে এহাব বলেন, “তারা নারী, অভিবাসী এবং শরণার্থী; তিন দিক থেকেই তারা সুবিধাবঞ্চিত।”

অনেক নারী সন্তানসহ জার্মানিতে আসেন। কিন্তু ডে-কেয়ার সেন্টারে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় তারা প্রশিক্ষণ বা চাকরিতে যোগ দিতে পারেন না। পুরুষ অভিবাসীরা তুলনামূলকভাবে সহজে নির্মাণশিল্পের মতো ভাষানির্ভর নয়- এমন কাজে যুক্ত হতে পারেন।

আরেকটি বড় বাধা হলো শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি। ডোনিয়ার মতো অনেকের কাছে পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনের কোনো প্রমাণপত্র নেই। জার্মানিতে চাকরির জন্য শুধু অভিজ্ঞতা নয়, প্রত্যয়িত প্রশিক্ষণও আবশ্যক।

'ওয়ার্ক ফর রিফিউজিস' প্রকল্প নারী অভিবাসীদের জন্য কাউন্সেলিং, ওয়ার্কশপ ও জব ফেয়ারের আয়োজন করে। 'রেডি স্কুল অব ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশন' প্রযুক্তি আগ্রহীদের জন্য মেন্টরিং চালু করেছে। আফসানে আফরাজ নামে একজন মনোবিদ বলেন, “ডোনিয়ার মতো নারীরা রোল মডেল হতে পারেন। আমাদের একে অপরের পাশে থাকতে হবে।”

এই উদ্যোগগুলো অভিবাসী নারীদের কর্মজীবনে যুক্ত হওয়ার পথ সুগম করছে, তবে এখনো অনেক পথ বাকি।

তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্র্যান্টস

Logo