
সপ্তাহান্তে লিবিয়া উপকূল থেকে নৌকায় গ্রিসে আসা ২১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর সবাইকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয়বিষয়ক মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস।
এথেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির ক্রিট ও গাভদোস দ্বীপে আসা মোট ২১৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জুলাই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবাই লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে হেলেনিক কোস্টগার্ড।
গ্রিসের কোস্টগার্ড ও কিছু বাণিজ্যিক জাহাজ এই অভিযানগুলো চালায়। উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিসরসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
গ্রিস সরকার উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত অভিবাসীদের জন্য সাময়িকভাবে আশ্রয় আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ জানানো হলেও গ্রিস বলছে, বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি এমন যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
এর আগে, জুলাইয়ের শুরু থেকে ক্রিট দ্বীপের উপকূলে ২ হাজারের বেশি মানুষ নৌকায় করে পৌঁছেছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পর্যটন মৌসুমে এমন অভিবাসন প্রবাহ দ্বীপের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শনিবারের আগে তিনটি আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে আরো ১৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ক্রিট দ্বীপের উপকূলে পৌঁছায় এবং তাদেরও আটক করা হয়। আরেকটি দলকে উদ্ধার করা হয় তুরস্কের উপকূলসংলগ্ন আগাথোনিসি দ্বীপের কাছে। সেখানকার ১১ জনের মধ্যে একজন গুরুতর আহত ছিলেন এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইআরটি।
মন্ত্রী প্লেভরিস ডেইলি মেইলকে আরো বলেন, “যারা নৌকায় করে ইউরোপে প্রবেশ করতে চায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিসর ও পাকিস্তানের মতো ‘নিরাপদ’ দেশ থেকে তাদের জন্য এখন থেকে আমাদের বার্তা পরিষ্কার। সেটি হচ্ছে, গ্রিস আর কোনো হোটেল নয়। কেউ যদি অবৈধভাবে নৌকায় উঠে এখানে আসে, তাহলে তাদের জন্য হয় পাঁচ বছরের জেল অথবা ফেরত যাওয়ার টিকিট দেওয়া হবে।”
বর্তমানে গ্রিসের অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আরো বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ধরনের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তবে গ্রিক সরকার বলছে, “অর্থনৈতিক অভিবাসীদের ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ জরুরি।”
তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস