
পর্তুগাল সরকার অভিবাসন নীতিতে বৃহৎ সংস্কার এনেছে, যা দেশটির ইতিহাসে অন্যতম কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন আইন অনুযায়ী, পরিবার পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা বিদেশে একসাথে বসবাস করতেন, যা অনেক প্রকৃত পরিবারকে বাদ দিতে পারে।
এছাড়া যারা আগে অবৈধভাবে বসবাস করেছেন, তাদের জন্য ভিসা পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে, এমনকি যদি তারা পরে বৈধতা অর্জন করে থাকেন। জব-সিকার ভিসা এখন শুধু “উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন” পেশাজীবীদের জন্য সীমিত করা হয়েছে।
নাগরিকত্বের জন্য বাসস্থান সময়সীমা দ্বিগুণ করে ১০ বছর করা হয়েছে (আগে ছিল ৫ বছর) এবং ভাষা ও সংস্কৃতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি সেফার্ডিক ইহুদি বংশোদ্ভূতদের জন্য বিশেষ নাগরিকত্ব পথ বাতিল করা হয়েছে।
এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য উদ্বেগজনক, বিশেষ করে যারা কম দক্ষতা বা পরিবার পুনর্মিলনের মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চেয়েছেন। নতুন নিয়মে কম দক্ষ শ্রমিকদের সুযোগ কমে গেছে এবং ভবিষ্যৎ নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।
পর্তুগালের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের (AIMA) বিরুদ্ধে মামলা এখন আর “জরুরি মানবাধিকার” ভিত্তিতে নয়, বরং সাধারণ প্রশাসনিক মামলার মতো বিবেচিত হবে, ফলে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের উচিত দক্ষতা উন্নয়ন, আইনি সহায়তা ও তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা, যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নতুন নীতিমালার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস