Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

গ্রিস-লিবিয়া অভিবাসন সংকট

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০০:১২

গ্রিস-লিবিয়া অভিবাসন সংকট

ইউরোপের দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসন সংকট আবারো তীব্র আকার ধারণ করেছে, বিশেষ করে লিবিয়া থেকে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে অভিবাসীদের আগমন বেড়ে যাওয়ায়। চলতি বছর ইতোমধ্যে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসী ক্রিটে পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের মোট সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। এই প্রবাহের পেছনে রয়েছে লিবিয়ার অস্থিরতা, রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক কৌশল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক ব্যর্থতা।

গ্রিস সরকার উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত অভিবাসীদের জন্য তিন মাসের জন্য আশ্রয় আবেদন স্থগিত করেছে। যারা গ্রিসে পৌঁছাচ্ছেন, তাদের বদ্ধ কেন্দ্রে আটক রাখা হচ্ছে, যাতে লিবিয়া থেকে যাত্রা নিরুৎসাহিত হয়। এই পদক্ষেপকে অনেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। তবে সরকার বলছে, “জরুরি পরিস্থিতিতে জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন।”

এই সংকটের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল লিবিয়ার ত্রিপোলি ও বেনগাজি সফর করে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চায়। কিন্তু বেনগাজিতে রাশিয়া সমর্থিত খলিফা হাফতারের প্রশাসন ইইউ প্রতিনিধি দলকে “persona non grata” ঘোষণা করে, যা কূটনৈতিকভাবে অপমানজনক। হাফতার চায় ইইউ তার সরকারকে স্বীকৃতি দিক এবং তুরস্ক-লিবিয়া সমুদ্রসীমা চুক্তিকে বৈধতা দিক, যা গ্রিসের জন্য অগ্রহণযোগ্য।

এদিকে রাশিয়া লিবিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, অস্ত্র সরবরাহ ও অভিবাসনকে “হাইব্রিড যুদ্ধ”–এর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে কূটনীতিকরা সতর্ক করেছেন। সিরিয়ায় ঘাঁটি হারানোর পর রাশিয়া তব্রুক ও সেবহাতে নতুন ঘাঁটি গড়তে চায়, যা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

গ্রিস ও ইতালি বারবার ইইউ ও ন্যাটোকে লিবিয়া সংকটে সক্রিয় ভূমিকা নিতে বললেও ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কম। ন্যাটোর সাম্প্রতিক ঘোষণায় আফ্রিকার নামও নেই, যা দক্ষিণ ইউরোপের জন্য হতাশাজনক।

এই সংকট শুধু অভিবাসন নয়, এটি ইউরোপের সীমান্ত, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ঐক্যের পরীক্ষাও।

তথ্যসূত্র: এপি নিউজ

Logo