বিয়ে করে নাগরিকত্ব: কোন কোন দেশে এই সুযোগ পাওয়া যায়?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১১

বিশ্বায়নের এই যুগে প্রেম, সম্পর্ক ও বিয়ে আর শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়; এটি অনেক সময় আন্তর্জাতিক অভিবাসনের পথ হয়ে ওঠে। অনেক দেশেই বৈধভাবে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট শর্ত, সময়সীমা ও প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়। নিচে তুলে ধরা হলো এমন কিছু দেশ, যেখানে বিয়ে নাগরিকত্বের একটি বৈধ ও কার্যকর পথ হতে পারে।
স্পেন: স্পেনের নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র এক বছর বৈধ বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। তবে স্প্যানিশ ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান এবং সহবাসের প্রমাণ দিতে হয়।
পর্তুগাল: পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করলে তিন বছর বৈবাহিক সম্পর্ক থাকলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। দেশে বসবাসের বাধ্যবাধকতা নেই, তবে ভাষা ও সামাজিক সংযোগের প্রমাণ দিতে হয়।
মেক্সিকো: মেক্সিকান নাগরিককে বিয়ে করে দুই বছর দেশটিতে বসবাস করলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। স্প্যানিশ ভাষা ও সাংস্কৃতিক জ্ঞান আবশ্যক।
আর্জেন্টিনা: আর্জেন্টিনায় দুই বছর বৈধ বসবাস ও বৈবাহিক সম্পর্ক থাকলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। দেশটি দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে, যা অনেকের জন্য সুবিধাজনক।
ব্রাজিল: ব্রাজিলিয়ান নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র এক বছর বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ভাষা ও সামাজিক সংযোগের প্রমাণ দিতে হয়।
আয়ারল্যান্ড: আয়ারল্যান্ডে তিন বছর বৈবাহিক সম্পর্ক ও এক বছর বসবাস থাকলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ইংরেজি ভাষা ও সামাজিক সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ।
জার্মানি ও সুইডেন: এই দেশগুলোতে তিন বছর বৈবাহিক সম্পর্ক ও বসবাস থাকলে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ভাষা ও সামাজিক সংহতির প্রমাণ দিতে হয়।
তুরস্ক: তুর্কি নাগরিককে বিয়ে করলে তিন বছর সহবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ভাষা বা সাংস্কৃতিক জ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে বৈধ সম্পর্কের প্রমাণ দিতে হয়।
কেপ ভার্দে: এই পশ্চিম আফ্রিকান দ্বীপদেশে বিয়ের পরপরই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়, বসবাসের বাধ্যবাধকতা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধতা, সহবাস, ভাষাজ্ঞান ও সামাজিক সংযোগ প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই ভুয়া বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করলে আইনি জটিলতা ও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।
তথ্যসূত্র: www.globalcitizensolutions.com