
গ্রিসের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটি লিবিয়া উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করছে, যার উদ্দেশ্য হলো অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ করা। প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এই পদক্ষেপকে “মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক বার্তা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে লিবিয়া থেকে গ্রিসের ক্রিট ও গাভদোস দ্বীপের দিকে বড় আকারের মাছ ধরার নৌকায় শত শত অভিবাসী আসছেন। শুধু গত সপ্তাহেই ৬০০ জনের বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই নৌকাগুলোর বেশির ভাগই লিবিয়ার টোব্রুক বন্দর থেকে ছেড়ে আসে এবং যাত্রীরা প্রায় দুই দিন খোলা সমুদ্রে খাবার ও নিরাপত্তা ছাড়াই ভ্রমণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মিৎসোটাকিস বলেন, “আমরা চাই না পাচারকারীরা নির্ধারণ করুক কে আমাদের দেশে প্রবেশ করবে।' তিনি ইউরোপীয় কাউন্সিলে এই ইস্যু উত্থাপন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি মানবিক সহায়তার পরিবর্তে সামরিকীকরণ এবং আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। তবে গ্রিস বলছে, এটি একটি প্রতিরোধমূলক ও যৌথ ইউরোপীয় উদ্যোগ, যাতে লিবিয়া ও অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিও যুক্ত থাকবে।
এই পরিস্থিতি অভিবাসন নীতির ভবিষ্যৎ ও ইউরোপের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।
তথ্যসূত্র: ইউরো টপিকস