Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন করেছে পর্তুগাল

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৮:২২

নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন করেছে পর্তুগাল

পর্তুগাল সরকার নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরো কঠিন করে তুলছে। সরকার এক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে, যেখানে নাগরিকত্বের জন্য আবশ্যিক বসবাসের সময় ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।

সোমবার দেশটির মধ্য-ডানপন্থি সংখ্যালঘু সরকার নতুন এই অভিবাসন নীতির ঘোষণা দেয়। মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাও আমারো জানান, এই কঠোরতা সরকারের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে অঙ্গীকারের প্রতিফলন। তবে এই পরিবর্তনগুলো এখনো সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রধান পরিবর্তনসমূহ:

• ১০ বছরের আবশ্যিক বসবাস: অধিকাংশ বিদেশিকে পর্তুগালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে বৈধভাবে ১০ বছর বসবাস করতে হবে।

• ৭ বছরের ব্যতিক্রম: ব্রাজিল, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিকসহ পর্তুগিজভাষী দেশগুলোর অভিবাসীদের জন্য এই সময়সীমা ৭ বছর।

• ভাষা ও সংস্কৃতির শর্ত: আবেদনকারীদের পর্তুগিজ ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান থাকতে হবে, নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া থাকতে হবে এবং গণতান্ত্রিক নীতিতে সমর্থন জানাতে হবে।

• অপরাধ ও নিরাপত্তা বিধান: যেসব ব্যক্তি জেল খেটেছেন বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হন, তারা নাগরিকত্ব পাবেন না।

• নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা: সরকার গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত প্রাকৃতিকীকৃত নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে।

কেন এখন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্তুগালে অভিবাসন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশটিতে ১৫ লাখের বেশি বৈধ বিদেশি বাসিন্দা ছিল, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১,৪১,৩০০ জন বিদেশি নাগরিকত্ব পান, যা ২০২২ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। 

অন্যান্য প্রস্তাবনা:

সেফার্দিক ইহুদি বংশধরদের জন্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব সুবিধা বাতিল।

অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য নতুন সীমান্ত পুলিশ বাহিনী গঠন।

যদি সংসদে এই পরিবর্তন অনুমোদিত হয়, তবে এটি পর্তুগালের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নাগরিকত্ব প্রাপ্তির অন্যতম কঠোর নীতিতে পরিণত হবে, যা ভারতের অভিবাসী ও বিনিয়োগকারীদের দ্বিতীয় বাসস্থান হিসেবে পর্তুগাল নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।

তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ।

Logo