
পর্তুগালের আলোচিত গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রামে বড় ধরনের সংস্কার আনা হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের মাধ্যমে আর এই ভিসার আবেদন করা যাবে না।
এই পদক্ষেপ পর্তুগালের আবাসন সংকট মোকাবিলা এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য বিদেশি বিনিয়োগকে এমন খাতে পরিচালিত করা, যা দেশীয় গবেষণা, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে অবদান রাখবে।
নতুন বিনিয়োগ ভিত্তিক বিকল্পসমূহ:
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডে বিনিয়োগ: অনুমোদিত ফান্ডে কমপক্ষে ৫ লাখ ইউরো বিনিয়োগ করা যাবে, যার কোনো সম্পর্ক থাকবে না রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে।
চাকরি সৃষ্টি প্রকল্প: এমন একটি কোম্পানি স্থাপন করতে হবে, যা কমপক্ষে ১০টি পূর্ণকালীন চাকরি সৃষ্টি করবে।
গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে অনুদান: স্বীকৃত বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ইউরো বা তার বেশি অনুদান প্রদান করা যাবে।
সাংস্কৃতিক বা শিল্প প্রকল্পে অনুদান: পর্তুগালের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য অন্তত ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো অনুদান দিতে হবে।
নতুন কোম্পানি গঠন: ৫ লাখ ইউরো মূলধনসহ একটি কোম্পানি গঠন করতে হবে, যা অন্তত পাঁচটি স্থায়ী চাকরি তৈরি করবে।
পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ রিয়েল এস্টেট থেকে আরো উৎপাদনশীল ও দীর্ঘস্থায়ী খাতে প্রবাহিত হবে। তবে অনেক আবেদনকারী যারা এখনো সম্পত্তির মাধ্যমে ভিসা পেতে চাচ্ছিলেন, তারা হতাশ হতে পারেন।
পর্তুগালের অভিবাসন খাত এখন একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে, যেখানে নাগরিকত্ব এবং বিনিয়োগের সংমিশ্রণ আগের চেয়ে আরো লক্ষ্যণীয় এবং নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেলোবিজ