
অ্যাসাইলাম বা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে স্পেন৷ দেশটির কমিশন ফর রিফিউজির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে৷
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে স্পেনে আশ্রয়ের জন্য করা আবেদনের শতকরা ১৮ দশমিক পাঁচ ভাগ মঞ্জুর করা হয়েছে৷ ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা বেশি হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে তা সর্বনিম্ন৷ ইইউ দেশগুলোতে আশ্রয় আবেদন মঞ্জুরের গড় হার ৪৬ দশমিক ছয় ভাগ৷
স্প্যানিশ কমিশন ফর রিফিউজির বার্ষিক এই প্রতিবেদনটি বিশ্ব শরণার্থী দিবসকে সামনে রেখে উপস্থাপন করা হয়৷
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে মোট ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৫টি আবেদন জমা পড়েছিল৷
এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছিল জার্মানিতে, ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫টি৷ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল স্পেন৷ দেশটিতে মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬৬টি আবেদন জমা পড়েছিল৷ স্পেনে আবেদনের এই সংখ্যা ছিল তার আগের বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় দুই ভাগ বেশি৷
তবে আবেদনের সংখ্যা বেশি হলেও মাত্র প্রায় ২০ ভাগ অর্থাৎ প্রতি দশটি আবেদনের মধ্যে দুইটি মঞ্জুর করেছে স্পেন সরকার৷
এই আবেদনকারীরা মূলত মধ্য আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং আফ্রিকার দেশ মালির নাগরিক৷ সংঘাত এবং মানবিক দুরবস্থার মতো পরিস্থিতির কারণে এই দেশগুলো থেকে আবেদনের সংখ্যা বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
কমিশনের একটি সূত্র ইতালির সংবাদমাধ্যম আনসাকে বলেন, ‘‘কলম্বিয়া কিংবা মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ; যেমন এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের অনেক আশ্রয়প্রার্থীর আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আবেদন বাতিল করা হয়৷ তাছাড়া আবেদনের জন্য লম্বা সময় লাগায় হাজার হাজার আবেদনকারী আইনি স্থবিরতায় আটকে থাকেন৷’’
তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস