

জার্মানিতে ভোকেশনাল ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর আপনার জন্য রয়েছে চাকরির সন্ধান ও বসবাসের দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার বেশকিছু সুযোগ।
১. চাকরির সন্ধান করতে ১৮ মাসের পারমিট
ভোকেশনাল ট্রেনিং সফলভাবে শেষ করার পর আপনি ১৮ মাসের জব সিকিং রেসিডেন্স পারমিট পাবেন। এর মাধ্যমে আপনি জার্মানিতে থেকে ভালো বেতনের চাকরি খুঁজে নিতে পারবেন এবং খোঁজাখুঁজির সময় আপনি পূর্ণ সময়ে কাজ করতে পারবেন।
২. স্বাস্থ্য বা কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্স হলে সুযোগ বেশি
স্বাস্থ্য বা কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ট্রেনিং করতে গেলে শেষ হওয়ার পর আপনি ১২ মাসের job-seeking permit পেতে পারেন। প্রয়োজনে এটি আরো ৬ মাস এক্সটেন্ড করা যাবে । এই সময় আপনি যে কোনো চাকরির জন্য আবেদন ও কাজ করতে পারবেন।
৩. দুই বছর কাজ- স্থায়ী বসবাস
যদি ট্রেনিংয়ের পর আপনি দুই বছর জার্মানিতে চাকরিতে কর্মরত থাকেন, তবে Section 18c সিডলমেন্ট পারমিট (স্থায়ী বসবাস) পেতে পারেন। তবে এটি পেতে ভাষা দক্ষতা, জীবনযাপন ও অবদান বিষয়ক অতিরিক্ত শর্ত পূরণ করতে হবে।
কেন এই সুযোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ?
জার্মানিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি। তাই কোম্পানি প্রায়ই ট্রেনিং শেষ শিক্ষার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করে। এই ব্যবস্থা নতুন দক্ষ কর্মীদের কর্মজীবন শুরু ও কঠিন নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াও সিডলমেন্ট পারমিটে উত্তরণ সহজ করে তোলে।
ভোকেশনাল ট্রেনিং শেষ করে আপনি চাকরিতে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন এবং পরিশেষে স্থায়ী বসবাসের পথও খুলে যাবে। এটা জার্মান সরকারের স্কিলভিত্তিক অভিবাসন ও দক্ষ কর্মী আকর্ষণের একটি মূল নির্দেশনা।
তথ্যসূত্র: make-it-in-germany.com