ইতালিতে ভেস্তে গেল বিদেশিদের সহজে নাগরিকত্ব অর্জনের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ২৩:৪৩

ইতালিতে গণভোটে অংশ নেননি কাঙ্ক্ষিত ভোটার, তাই ভেস্তে গেল নাগরিকত্ব অর্জন ও বিদেশি কর্মী নিয়োগ সহজের উদ্যোগ। নাগরিকত্ব অর্জনের শর্ত সহজ করা এবং বিদেশি কর্মী নিয়োগে উদারনীতি গ্রহণে সরকারকে বাধ্য করতে গণভোটের আয়োজন করা হলেও ভোটকেন্দ্রে আসেননি আশানুরূপ ভোটার৷ গণভোট ব্যর্থ হওয়া মানেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির জয়৷
ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইতালি৷ দেশটির বামপন্থি ও মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং শীর্ষস্থানীয় একটি শ্রমিক ইউনিয়ন সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই গণভোটের আয়োজন করেছে৷ রোববার শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলে এই ভোট৷ গণনা শেষে দেখা গেছে, পাঁচ কোটি ১০ লাখ ভোটারের দেশটিতে গণভোটে অংশ নিয়েছেন মাত্র ৩০ ভাগ ভোটার৷
ইতালির আইন অনুযায়ী, গণভোট সফল করতে হলে দেশটির মোট ভোটারের অন্তত ৫০ শতাংশের ভোট প্রয়োজন হয়৷ আগে থেকেই শঙ্কা ছিল, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনতে ব্যর্থ হতে পারেন আয়োজকরা৷ বিভিন্ন জনমত জরিপেও মিলেছে তার ইঙ্গিত৷ ভোট শেষেও সেই শঙ্কা সত্য হলো৷
এই ফলাফলকে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির জন্য একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ রোববার ভোটার উপস্থিতি যখন ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, তখন রোমের একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন মেলোনি৷ সেখানেই তিনি আবারো ঘোষণা দেন, এই গণভোটে তিনি ভোট দেবেন না৷ এর আগেও নিজের সমর্থকদের গণভোট থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি৷
কেন এই গণভোট?
ইতালির জন্মহার তীব্রভাবে কমেছে৷ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশটির অর্থনীতির গতিও কমেছে৷ এই ভঙ্গুর অর্থনীতিকে সচল করতে হলে আরো বেশিসংখ্যক বিদেশি নাগরিককে দেশটির প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে৷ বিদেশি কর্মীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা বিশ্বাস করেন, ইতালিতে তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে৷
এমন প্রেক্ষাপটে জর্জিয়া মেলোনি সরকারের গৃহীত নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই গণভোটের আয়োজন করা হয়৷ এতে মোট পাঁচটি ইস্যুতে ইতালির জনগণের মতামত জানতে চাওয়া হয়৷ চারটি ছিল কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রশ্ন৷ এগুলো হলো- চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে কর্মীদের সুরক্ষা, বেতন-ভাতা বাড়ানো, বেকারত্ব ভাতার বিধান যুক্ত করা এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা৷
তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস